ব্রেকিংঃ

ভোলায় ক্রেতাকে জীবত মুরগীর বদলে মৃত মুরগী দিলেন দোকানদার

স্টাফ রিপোর্টার : দ্বীপ জেলা ভোলার শহরের প্রাণ কেন্দ্র অবস্থিত অত্যাধুনিক কিচেন মার্কেট থেকে জীবিত মুরগী কিনে মৃত মুরগী নিয়ে বাড়ি ফিরলেন ক্রেতা সুমি বেগম।

সোমবার সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের  সময় ভোলার দঃদিঘলদীর বাসিন্দা সিমা বেগম জীবিত মুরগী ক্রয় করেন কাশেম মোল্লার ছেলে জশিমের দোকান থেকে । এসময় জশিম মুরগী কে ড্রেসিং করতে দেন পাশের দোকাদার মামুনের কাছে। সেখানে মুরগী নিয়ে জসিমের আগে জবাইকৃত মৃত্যু মুরগীটি ড্রেসিং করে এবং সেই মৃত মুরগীটি ড্রেসিং করার সময় ক্রেতা সিমা বেগম দেখে পেলে।

এসময় তিনি নিষেধ করলে উল্টা তাকে বলেন সমস্যা নেই ঐ মুরগীর চেয়ে এটা বড়, তখন সিমা মোবাইলে ছবি তুললে জশিমের কর্মচারী ফারুক বলেন ছবি তুললে কি হবে আমরা এমন আরো অনেক কে দেয়।
পারলে কিছু কইরেন দেখি কি পাড়েন আপনি।

ক্রেতার এমন অভিযোগে প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্রেতার অভিযোগের সত্যতা পান। সেখানে থাকা অনেক ক্রেতাই অভিযোগ স্বীকার করে আমাদের জানান আমরা কিনি জিবিত আর আমাদেরকে ড্রেসিং এর নাম করে নিচে পড়া মৃত মুরগী চালিয়ে দেয় দোকানের মালিক জশিম ও কমচারী ফারুকেরা।

ক্রেতা সিমা বলেন, অভিযোগ অহর অহর ঘটে কিন্তু কেউই সাহস করে বলতে পারে না তার কারন মুরগীর দোকানীরা ক্রেতাদের সাথে খারাপ আচরন করে বিশেষ করে মহিলাদের পাইলে একটু বেশি করে এবং মাঝে মাঝে তারা মহিলাদের খারাপ ভাষার মাধ্যমে ইভটিজিং ও করে থাকে কিন্তু তাদের কে প্রতিহত করার কেউ নেই কাউকে আমরা খুজে পাই না।
ক্রেতার অভিযোগ পেয়ে ভোলা কিচেন মার্কেটে মুরগীর দোকানে গেলে তারা এই অভিযোগটি অস্বীকার করেন এবং তারা বলেন এখানে মরা মুরগী দুইটা ছিল তাই হয়তো একটু উলট পলট হতে পাড়ে।

ক্রেতারা জানান প্রশাসন ভোলা শহরের প্রান কেন্দ্র কিচেন মার্কেটের দিকে একটু নজরদারি রাখলে হইতো দোকানদাররা এই সাহস পেতো না তাই প্রশাসন সহ উধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্রেতারা।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।