ব্রেকিংঃ

সরকারী কোন ভাতা না পেয়ে ভিক্ষা কে বেছে নিলেন ভোলা ইলিশার জামেলা

ইয়ামিন হোসেন:
ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চর আনন্দ গ্রামে বসবাসরত মৃৃত মফিজুুল হকের স্ত্রী এক অসহায় বৃদ্ধ জামেলা খাতুন (৭৫) দীর্ঘদিন সংসার জীবনে জামেলা খাতুনের রয়েছে ১ ছেলে তাও মারা গেছে ও ১ মেয়ে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ জামেলা খাতুন ভিক্ষা করে দিনযাপন করেছেন । লাঠিতে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটেন। শরীরে আগের মতো শক্তি নেই। বাসা বাড়ীতের কাজেও কেউ তাঁকে ডাকেন না। একমাত্র মেয়ে কে নিয়ে যে টাকা পায় তা দিয়ে কোনো রকম অনাহারে অর্ধহারে তাঁদের সংসার চলে। কোথায় যাবেন কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। ইতি পূর্বে সামান্য যে সম্পদ ছিল, তা মেঘনা গর্ভে চলে গেছে। বয়স্ক এই জামেলা খাতুন সরকার থেকে কোনো ভাতা পাচ্ছেন না। বয়স্ক ভিক্ষুক জামেলা খাতুন আক্ষেপ করে বলেন, মেম্বারের কাছে বয়স্ক ভাতার জন্য কত আকুতি- মিনতি করেছি। ভবিষ্যতে এলে পাবেন এই আশ্বাসটুকু ছাড়া আর কিছুই কাপালে জোটেনি। তার প্রশ্ন, আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাবো? তিনি আরো বলেন, আমরা অসহায় ও গরিব মানুষ । আমাদের দেখার জন্য যেন কেউ নেই। বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়ার জন্য মেম্বারদের টাকা দিতে পারিনা। তাই আমার কার্ডও হয়না। স্থানীয়রা জানান, ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাছনাঈন আহমেদ হাছান মিয়া নিজে খোজ নিয়ে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড দিয়েছেন কিন্তু এই মহিলা কেনো বাদ পরেছেন? তবে জামেলা খাতুন স্বীকার করেছেন তিনি মেম্বার এর কাছে একাদিকবার গিয়েছেন কিন্তু চেয়ারম্যান এর কাছে এক বার ও যায়নি।
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।