ব্রেকিংঃ

নতুন ধারার কোনো তাবলিগকে আসতে দেয়া যাবে না: আল্লামা আহমদ শফী

ঢাকা প্রতিণিধি :

হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, আমি ছোট মানুষ। এখানে উপস্থিত আছেন দেশের বড়বড় উলামায়ে কেরাম। সবাই যার যার বক্তব্য পেশ করেছেন। আমি দোয়া করি উলামায়ে কেরামের হায়াত আল্লাহ তাআলা দীর্ঘায়িত করুন।

উলামারা নবীদের ওয়ারিশ। আজ হাজার মাদরাসা মসজিদে এরা এলেমের খেদমত করছে।

শনিবার (২৮ জুলাই) রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাবলিগ জামাতেরসংকট নিরসনে আয়োজিত ওয়াজাহাতি জোড়ে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেওবন্দের কথা বলি আমরা। নবীজির লাঠির রেখার ওপর প্রতিষ্ঠত দারুল উলুম দেওবন্দ। আমাদের সবকিছু যেন ফতওয়া মোতাবেক হয়। দেওজন্দের ফতওয়াকে ভিত্তি করেই উলামারা কথা বলেছেন। তাবলিগের তিন মুরুব্বি যে উসুলে কাজ করেছেন কেয়ামত পর্যন্ত সে উসুলেই চলবে।

তিনি বলেন, ওয়াজের সব মজলিসে বক্তরা তাবলিগের এ উসুলের কথা প্রচার করুন। আমরা আলেমদের কথামতো চলব। তাবলিগের কাজ করব। অন্য কারো কথা মানব না, আমল করব না। যিনি আলেম না, তিনি কোন মাজহাব বানালে আপনারা তার কথা শুনবেন না। এই আলেম ওলামা যারা বাংলার সিংহ আপনারা তাদের কথা শুনবেন।

তিনি আরো বলেন, এ কাজ উলামাদের থেকে এসেছে, এখনো একাজের মুরুব্বি হবেন উলামায়ে কেরাম। যারা আলেমদের অপমানিত করেছে। মারধর করেছে। আমরা উলামারা মার খেতে পারব। এখানকার মুফতিয়ানে কেরাম আমাদের মারলেও সহ্য করব। কিন্তু যারা মূর্খ, কিছু জানে না তাদের মার কেন খাব। তাবলিগ তো আদব শেখার জন্য। যাদের আদব নেই তাদের তাবলিগ কিসের।

আল্লামা আহমদ শফী বলেন, নবী সা. দীন হলো একে অন্যের মঙ্গল কামনার নাম। আল্লাহ, আল্লাহর রাসূল, আলেমদের মঙ্গলকামনার নাম দীন। এক. আল্লাহর মঙ্গল কামনা মানে কুরঅান মানা। দুই. রাসূলের মঙ্গলকামনা মানে রাসূলের সব কথা মানা।

সবার কাছে ওয়াদা নিতে চাই, আপনারা আপনাদের ঘরের সদস্যদের নামাজি বানান। সবাই দাড়ি রাখুন সুন্নত তরিকায়। যদি নবীর সুপারিশ পেতে চান। না হয় নবীজি সা. কেয়ামতের সুপারিশ নিতে গেলে বলবেন, তুমি আমার মুখের সঙ্গে শত্রুতা করেছ। তুমি কোন ইহুদি নাসারা আমি চিনি না। সবাই সুন্নতের কিতাব কিনে আমল করুন।

হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক বলেন, তাবলিগও উলামায়ে কেরাম, আওলিয়ায়ে কেরামের কথা মতো করবেন। সবাই গ্রামে গ্রামে জামাত নিয়ে বের হোন। যাতে অন্য কোনো নতুন তাবলিগ শুরু হতে না পারে। মাদরাসা বন্ধ দিয়ে হলেও তাবলিগে বের হতে হবে উলামাদের। নতুন নতুন যারা বিভিন্ন কথা বলছে তাদের কথা মানা যাবে না।

জোড়ে জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপাল পীরে কামেল আল্লামা আশরাফ আলী, জামিয়া বারিধারার মুহতামিম আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, মারকাজুদ দাওয়ার আমিনুত তালিম মুফতি আবদুল মালেক, কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়ার মুহাতামিম আল্লামা আজহার আলী আনোয়ার শাহ, ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, শাইখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, লালবাগ জামিয়ার মুহাদ্দিস মুফতি ফয়জুল্লাহ, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি, মুফতি এনামুল হক, বারিধারা মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি ওবায়দুল্লাহ ফারুক, আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, উত্তরা আল মানহাল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ আযহারীসহ বাংলাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ীর মুহতামিম আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আবদুল হালিম বুখারির প্রতিনিধিগণ তাদের পাঠানো চিঠি পাঠ করেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।