ব্রেকিংঃ

যেসব সিদ্ধান্ত আসতে পারে ওয়াজাহাতি জোড় থেকে

 

আওয়ার ইসলাম :

তাবলিগের চলমান সংকট সমাধান, তাবলিগকে পূর্বসূরীদের আদর্শ, চিন্তা ও চেতনা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে শনিবার সকালে মুহাম্মদপুরের ঈদগাহ মাঠে ওয়াজাহাতি জোড় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওয়াজাহাতি জোড়ে বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে যানা গেছে । একাধিক সূত্রে জানা যায়, তাবলিগের সাধারণ সাথীদের উপকারী এবং তাবলিগ সুরক্ষার স্বার্থে উলামায়ে কেরাম সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন। বিশেষভাবে দিল্লির নিযামুদ্দিন মারকাযের মুরুব্বি মাওলানা সাদ কান্দলবীর অনুসরণ সম্পূর্ণভাবে বর্জনীয় ও নিষিদ্ধ হওয়ার ডাক আসতে পারে উলামায়ে হযরতের এ ওয়াজাহতি জোড় থেকে।

মুসলিম উম্মাহর আধ্যাত্মিক রাহবার হেফোজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে মাওলানা সাদের ভ্রান্ত আকিদার অনুসরণের হলফনামা করেছেন এমন ব্যক্তিদের কাকরাইলের শুরা সদস্য ও ফয়সাল থেকেও বাতিল করার দাবি জোড়ালো হতে পারে।

এছাড়াও আলমী শুরায় আল্লামা শাহ আহমদ শফী, যাত্রাবাড়ি মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা মাহমুদুল হাসান, বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী ও কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা যুবায়ের আহমদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আসতে পারে।

সূত্র জানায়, তাবলিগের ১১ শুরা সদস্যের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে গঠিত কাকরাইলের উপদেষ্ঠা কমিটি সক্রিয় করার দাবি জোড়ালো হতে পারে।

শনিবারের ওয়াজাহাতি জোড়ে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত ইজতেমার ঘোষিত তারিখ ১৮ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত করার দাবিতে উলামায়ে কেরাম ঐকমত্য পোষণ করতে পারেন।

নানা সূত্রে জানা গেছে , জোড় ইজতেমায় দেশের প্রতিনিধিত্বশীল উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখবেন ও সুচিন্তিত মতামত উপস্থাপন করবেন। বাংলাদেশে (কাকরাইলে) মাওলানা সাদ কান্দলভীর কোনো ফয়সালা বাস্তবায়িত না হওয়ারও সিদ্ধান্তের দিকে যেতে পারেন উলামায়ে কেরাম।

এছাড়াও বাংলাদেশে তাবলিগের কাজ পূর্ববর্তী তিন মুরুব্বির (হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহ., হযরত মাওলানা ইউসুফ রহ. ও হযরত মাওলানা ইনামুল হাসান রহ.) পদ্ধতিতে এবং উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। নতুন কোনো পদ্ধতি চালু করা যাবে না। কাকরাইল, টঙ্গি ময়দান ও জেলা মারকাযসহ সকল মারকায এ পদদ্ধতিতেই পরিচালিত হবে বলে জোড় থেকে ঘোষণা আসতে পারে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সারাদেশের প্রায় বড় মাদরাসা থেকে ছাত্র-শিক্ষকরাও এ জোড়ে অংশ নিচ্ছেন। ঢাকার বাইরের ও দূর অঞ্চলের তাবলিগের সাথী, আলেম উলামা ও ছাত্র-শিক্ষকরা আজ রাতেই ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছেন।

জোড় বাস্তাবায়ন কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী মাদরাসার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাত্ররা সকালে জোড়ে অংশ নেবেন।

দেশের নেতৃস্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও দায়িত্বশীল তাবলিগের সাথীরাও জোড়ে অংশ নিচ্ছেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।