ব্রেকিংঃ

ভোলায় জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করলেও অভিযান আতঙ্কে জেলেরা

মোঃ বিল্লাল হোসেন
মৌসুমের প্রায় শেষ সময়ে ভোলায় জেলেদের জালে ধরা পড়তে শুরু করেছে রুপালি ইলিশ। এ কারণে ভোলার জেলেদের মধ্যে কিছুটা হলেও দেখা দিয়েছে খুশির আমেজ। আর এই ইলিশ পাওয়াকে কেন্দ্র করে সরগরম মেঘনা ও তেতুলিয়া তীরবর্তী মাছের আড়ৎগুলো। ভোলার দৌলতখান,তজুমুদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরার বিভিন্ন ঘাটের আড়ৎদার ও জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জেলেদের জালে মাছ পরতে শুরু করায় ক্রেতা-বিক্রেতা, আড়ৎদার, পাইকার আর বেপারিরা এখন ব্যস্ত। জেলেদের মুখেও ফুটেছে হাসি। সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় জাল ও নৌকা নিয়ে রাত-দিন নদীতে মাছ শিকার করছেন ভোলার বিভিন্ন উপজেলার লক্ষাধিক জেলে। জেলেরা কিছুদিন আগে অলস সময় কাটাত। এখন বসে থাকার সময় নেই। কারণ, ইলিশ ধরা পড়ায় মৎস্যজীবীদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাতাস এবং সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইলিশ সাগর থেকে নদীতে চলে আসছে। তবে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়লেও অভিযান নিয়ে কিছুটা চিন্তিত ভোলার জেলেরা। জেলেরা জানান, এতদিন নদীতে মাছ ছিল না, তাই তারা অনেক হতাশার মধ্যে ছিলো। অনেক ঋণ হয়েছে। এবার মাছ বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে তারা আশা করছেন। অন্যদিকে নদীতে ইলিশ ধরা পড়া শুরু হওয়ায় ডাকাতের উৎপাতও কিছুটা বাড়ছে। জেলেরা এ নিয়ে আতঙ্কেও রয়েছে। তারা নিরাপদে মাছ শিকার করতে পারলে অনেক লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। তারা আরও বলেন, কয়েক মাস নদীতে ইলিশের দেখা না পাওয়ায় তারা অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেছে। কিন্তু এমন সময় ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে যে আর কিছুদিন পরেই ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হবে তখন মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাবে। ’ ভোলার বিভিন্ন মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, নদী থেকে ঘাটে ভিড়ছে শত শত ট্রলার ও নৌকা। জেলেদের আহরণ করা মাছ আড়তে তুলে ডাক দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত দামে সেসব মাছ কিনে নিচ্ছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বেপারীরা। বিক্রেতা থেকে আড়ৎদার, সেখান থেকে পাইকার এবং বেপারিদের হাত ঘুরে এসব মাছ চলে যাচ্ছে ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশাল, যশোরসহ দেশের বড় বড় আড়তে এবং দেশের বাইরে। এক কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি হালি চার থেকে সারে চার হাজার টাকা, প্রতিটি ছোট ইলিশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং জাটকা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ভোলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পানি ও জোয়ার বাড়ায় মাছের পরিমাণ বাড়ছে। ইলিশ বয়সে পরিণত হয়েছে, আকারেও বড় হয়েছে, তাই সাগর থেকে নদীর দিকে চলে আসছে। কিছু মাছ আবার ডিম ছাড়তেও আসে। তাই জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে জাটকা ধরা বন্ধ ও মৎস্য প্রজননের সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকলে ইলিশ মাছ জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে।’
Chat conversation end
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।