ব্রেকিংঃ

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় খাল দখল করে দোকানঘর উত্তলন।। প্রশাসন নীরব দেখে ও না দেখার ভান

এম রহমান রুবেলঃ

বাংলাদেশে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান হলেও ভোলার পশ্চিম ইলিশার বাঘার হাট-পাঙ্গাশিয়া বাজারের খালের উপর অবৈধ দোকানঘর নির্মাণের দিকে নজর নেই প্রশাসনের এমনই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির টাকার কাছেই হার মানছে প্রশাসন।

তবে প্রশাসন বলছেন টাকার কথাটা তারাও শুনেছেন। তবে যে ব্যক্তি প্রশাসনের নাম ভাংগিয়ে দোকান মালিকদের কাছ থেকে টাকা এনেছে তাদের বিরুদ্ধে সু নিদিষ্ট প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং অতি শীঘ্রই সেই জায়গায় অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘার হাট বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জাংগালিয়া নামক খালটিতে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির দ্বারা খাল দখল করে প্রায় ৩০-৪০ টি দোকানঘর নির্মাণ করেন। চলতি বছরের মে মাসের দিকে দোকানঘর উত্তোলনের কারণে ৯ জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত।

সেই সময় বাকি ৩০-৩৫টি অবৈধ দোকানঘর ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে। কিন্তু কয়েকমাস ধরে কোন অবৈধ দোকানঘর না ভেঙে প্রতিদিন গড়ে উঠছে একাধিক নতুন দোকানঘর ও অট্টালিকা। যার ফলে জলাবদ্ধতা সহ নানান দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ঐ এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
নির্মাধীন দোকানঘরের আবর্জনা খালে ফেলায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ি জানান, স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কথামতো হাদিস মুন্সি নামে এক লোক দোকানঘর না ভাংতে উপজেলা এসিল্যান্ডকে টাকা দিবো এমন প্রতিশ্রুতিতে প্রতি দোকান থেকে আট থেক দশ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। যার ফলে এসিল্যান্ড দোকানঘর ভাংছেন না।

তবে হাদিস মুন্সি মুঠোফোনে এই প্রতিবেদকের কাছে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) মোঃ কাওসার হোসেন বলেন, মে মাসে ৯ জনকে কারাদণ্ড দেওয়ার পর স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বাকি দোকানঘর গুলো ভেঙে দেওয়ার জন্য ১৫-২০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এবং অর্থের লেনদেনের যে বিষয়টা বলা হয়েছে সেটা আমিও শুনেছি।

তবে আমাদের কেউই ঐ অবৈধ লেনদেনের সাথে জড়িত নেই। যে ব্যক্তি আমাদের নাম ভাংগিয়ে দোকান মালিকদের কাছ থেকে এই অবৈধ লেনদেন করেছেন তার সঠিক তথ্য পেলে আমরাও সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। এবং অতি শীঘ্রই সেই অবৈধ দোকানঘর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবো।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।