ব্রেকিংঃ

এরশাদকে দেখতে উদ্বিগ্ন নেতাকর্মীরা, হাসপাতালে ভিড়

 জনতার বানী ডেক্স:

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের এরশাদের অসুস্থতার খবর ও মৃত্যুর গুজবকে কেন্দ্র করে রোববার রাত থেকে উদ্বেগ-উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

রোববার রাতেই হাসপাতালের সামনে গিয়ে ভিড় করেন জাতীয় পার্টির প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী। সোমবার সকাল থেকেই সেখানে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। সকাল ৭ টায় জিএম কাদের হাসপাতালে আসেন। এরপর পরপরই আসে মশিউর রহমান রাঙ্গা। কিছুক্ষণ পর এরশাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে সিএমএইচে ছুটে আসেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, আজম খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সুনীল শুভ রায়, লে.জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপিসহ দলটির শীর্ষ নেতারা। দুপুর পর্যন্ত তারা সেখানেই ছিলেন।

বনানী কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফ করে জিএম কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা আবার হাসাপাতালে ছুটে যান। সঙ্গে বাকি নেতাকর্মীরাও হাসপাতালমুখী হন। এর আগে স্ত্রী রওশন এরশাদ ও পুত্র সাদ এরশাদ সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেখতে যান। বিকালে আরও একদফা তারা হাসাপাতালে ছুটে আসেন।

বিকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এরশাদকে দেখতে সিএমএইচে যান। জিএম কাদেরসহ দলটির নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রোববার রাতে এরশাদকে হাসাপাতালে দেখতে যান তার দলের একসময়কার মহাসচিব ও জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

এ প্রসঙ্গে জিএম কাদের যুগান্তরকে বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রাণ। তার অসুস্থতার খবর দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেয়। স্বভাবতই তাই সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার খবর নিচ্ছেন। অনেকে এরই মধ্যে ঢাকায় চলে এসেছেন। অনেকে রাত দিন হাসাপাতালের সামনেই কাটিয়ে দিচ্ছেন।

এরশাদের রোগমুক্তির কামনায় সারা দেশের মানুষ দোয়া দরূদ পড়ছেন। অনেক যায়গায় মিলাদ মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়েছে। আমরা আশা করি এরশাদ দ্রুত সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরবেন। সংসদে যোগ দেবেন। নেতা-কর্মীদের মাঝে সক্রিয় হবেন।

জানা গেছে, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গুঞ্জন-গুজবের অবসান ঘটাতে সিএমএইচ কর্তৃপক্ষ সকালে টিভি স্ক্রিনে এরশাদকে দেখানো শুরু করেন। তাতে দেখা যায় তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে, দু’একবার

হাত-পা নাড়াতে দেখা গেছে এরশাদকে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।