ব্রেকিংঃ

ভোলার চরফ্যাশনে উচ্ছেদের নামে মহা শ্মশান ধ্বংস করায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি

এম. রহমান রুবেল ॥ ভোলার চরফ্যাশনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক উচ্ছেদের নামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহা শ্মশান ধ্বংস করার প্রতিকার দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসন বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে চরফ্যাশন মহা শ্মশান পরিচালনা কমিটি। ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তারা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভাধীন হিন্দু সম্প্রদায়ের একমাত্র মহা শ্মশানটি শহ বছরের পুরাতন। সেখানে অত্র এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মৃত দেহ সৎকার ও সমাহিত করা হয়েছে। আর কোন মহা শ্মশান না থাকায় এখানে এখনও মৃহ দেহের সৎকার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যার মধ্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের হিন্দু সম্প্রদায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা অনেকেরই মৃত দেহ এখানে রয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ মহা শ্মশানের আধুনিকীকরণের জন্য সাবেক উপমন্ত্রী জননেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি মহোদয়ের নির্দেশে চরফ্যাশন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে বিভিন্ন মেয়াদে সীমানা প্রাচীর সহ নানান কাজে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার উন্নয়ন সম্পন্ন করেছেন। যা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্ছেদের নামে গত ২৩/১২/২০১৯ ইং তারিখে অভিযান চালিয়ে মহা শ্মশানের বিভিন্ন স্থাপনাসহ দুই পাশের সীমানা প্রাচীর পুরোপুরি এবং এক পাশের কিয়দাংশ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। যা সকল জনসাধারণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন লোক মৃত বরণ করলে তার সৎকার আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। তাই উচ্ছেদের নামে এই মহা শ্মশান ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা এবং যে অংশটুকু ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে তা পুন:সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানিয়েছেন চরফ্যাশন মহা শ্মশান পরিচালনা কমিটি।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শান্ত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজন সাহা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিঠু চন্দ্র মজুমদার, চরফ্যাশন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র নাথ, সাধারণ সম্পাদক ও চরফ্যাশন মহা শ্মশান পরিচালনা কমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক অভিমান্য দাস প্রমূখ।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।