স্টাফ রিপোটারঃ
ভোলার শহরের মেন কেন্দ্র অবস্থিত গাঁজিপুর রোডস্থ মাদ্রাসা এবং কোমলমতি শিশুদের শিশু বিদ্যা নিকেতনের পাশে আবাসিক এলাকায় স্কুল, কলেজের ছাত্র -ছাত্রী ও পথচারিদের হাটার পথের জায়গায় বসত ঘরের পাশে অবৈধ ভাবে কাউকে পরোয়া না করে রুপালি ব্যাংকের কর্মরত গাড়ির ড্রাইভার আবুল হাসনাতের মা স্টোরের পেট্রলের দোকানের ভিতরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছেন অবাধে।
এমন গুরুত্বপূর্ন জায়গায় প্রকাশ্য গ্যাস বিক্রি করলেও প্রশাসন দেখও কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না এমনটায় জানান এলাকাবাসি।
স্থানীয়রা জানান, গাঁজিপুর রোডের এই জায়গাটা খুব গুরুত্বপূর্ন এখানে বসবাস করেন ভোলা সদর আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদ এবং প্রশাসনের উর্ধত্তন কর্মকর্তারা।
এই পথ দিয়ে যাওয়া আসা করে স্কুল এন্ড কলেজের হাজার ছাত্র-ছাত্রী, মসজিদ, মাদ্রাসার ও পথ চারিরা।
এদিকে ভোলায় চোখ মিললেই দেখা যায় ব্যাঙের ছাতারমত গ্যাসের দোকান।
নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই শহর জুড়ে চলছে এর রমরমা ব্যবসা।
আবাসিক এলাকাসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট জুরেই দেখা যায় গ্যাসের দোকান।
শহরের অভিজাত এলাকা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড গাজীপুরা রোড নামে খ্যাত এই এলাকা।
এখানে বসবাস করেন রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসকল গ্যাসের দোকানের পাশে ও পিছনে রয়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি এবং দোকানের সামনে রয়েছে স্কুল ও মাদ্রাসা। প্রশাসনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যে যার মতো করে চালিয়ে যাচ্ছে এ মরণঘাতী ব্যবসা।
এখানেই শেষ নয় রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করছেন অসংখ্য মানুষ যেখানে রয়েছে মহিলা কলেজ গার্লস স্কুলসহমত বিচারিক কার্যালয় জেলা জাজ কোট ও বাসভবনসহ স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বসবাস করছেন।
এদিকে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাবসায়ী আবুল হাসনাত জানান, আমাকে ব্যাবসা করার জন্য অনুমোদন দিছে ফায়ার সার্ভিস।
আমি ব্যাসবা করছি দীর্ঘদিন কই কারো তো কোন ক্ষতি হয় নাই।
এলাকাবাসি জানান,আবুল হাসনাত তিনি একজন সরকারি চাকরি করেন, কিন্তু তিনি কোন নীয়ম নীতি মানেন না। তিনি সরকারি চাকরির পাশা পাশি আবাসিক এলাকায় বসত ঘরের পাশে পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাসের সিলিন্ডার এবং রাস্তার পাশে রেন্ট কার রেখে ব্যাবসা করে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, তাকে গ্যাস বাক্রি করতে নিষেদ করলে তিনি আমাদের কোন কথার কর্নপাত কররেন না।
তারা দাবি করেন দ্রুত সময় গ্যাস সিলিন্ডার অপসারন না করা হলে যে কোন সময় পথচারি স্কুল কলেজ ছাত্র-ছাত্রীরা বিপদ গ্রস্তে নীমজ্জিত হতে পারে।
তাই আবাসিক এলাকা থেকে গ্যাস সিলিন্ডার অপসারনের হস্তাক্ষেপ কামনা করছি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম রহমান রুবেল