ব্রেকিংঃ

টাকা না পেয়ে পাওনাদারদের আর্তনাদে ভোলার আকাশ ভারি হয়ে উঠছে।।

ভোলার মহাজনপট্টির হাওলার রাইসের মালিক সোহেল-শাখাওয়াত ২ কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপন
এম রহমান রুবেল ॥ ভোলা সদর রোডস্থ মহাজনপট্টিতে হাওলাদার রাইস ট্রেডার্সের মালিক সোহেল রাতের আধারে মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের মালিক জসিমকে তার দোকানে বসিয়ে আড়ৎদার এর কাছ থেকে আনুমানিক দেড় থেকে ২ কোটি টাকা নিয়ে আত্মগোপনে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাওলাদর রাইসের মালিক সোহেল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পাওয়ানাদারেরা। টাকা না পেয়ে পাওনাদারদের আর্তনাদে ভোলার আকাশ ভারি হচ্ছে ভোলার আকাশ-বাতাশ।
সুত্রে জানা যায়, সোহেল পালিয়ে যাওয়ার পর শাখাওয়াত স্থানীয় পেশী শক্তি ব্যবহার করে ঐ দোকানে আবারো ব্যবসা শুর করেন। কিন্তু যে সব ব্যক্তিরা এই দোকান দেখে তার ভাই সোহেলকে টাকা এবং মালামাল দিয়েছেন তাদের কারো সাথেই শাখাওয়াত দেনা পাওয়ানা মেটান নি। বরং তাদের সাথে খারাপ আচারন করেন। এরপর গোপনে শাখাওয়াত মেসার্স মিজান ট্রেডার্স এর মালিক জসিম এর সাথে আতায়াত করে রাতের আধারে ঘরটি দখলে বুজ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০১/১২/২০২০ইং তারিখ সকাল থেকে পাওয়ানাদারেরা পাওনা টাকা নিতে দোকানে আসতে শুরু করে। এরপরই শুরু হয় বিভিন্ন নানা নাটকিয়াতা। পাওয়ানাদারেরা টাকা উদ্বারের জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুর করেন। কিন্তু জসিম পাওয়ানাদারের কোন কথাই কর্নপাত করেন নাই। উল্টো পাওয়ানাদারদের সাথে খারাপ আচারন করে যাচ্ছেন। এমনকি তিনি পাওনাদারদের বলেন, ফাররধার দোকান এর কাছে আসলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি ধামকি দিচ্ছেন মেসার্স মিজান ট্রেডার্স এর মালিক জসিম।
এদিকে খালপাড়ের আল মদিনা ট্রেডার্সের মালিক লাল মিয়া বলেন, আজ থেকে ১ বছর আগে আমি হাওলাদার রাইস এর মালিক সোহেল হাওলাদর ও শাখাওয়াত এর কাছে থেকে ১০ লাখ টাকা পাবো তিনি আমার টাকা পরিশোদ না করে পালিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, এর আগে আমি পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে মাইরপিট করেছেন। তখন আমি বিচার চেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও চাউল আড়ৎ মালিক সমিতির কাছে বিচার চেয়েছি। লাল মিয়া আরো বলেন, আমার মত এমন বহু ব্যবসায়ী আছেন কোটি টাকার উপরে সোহেল এর কাছে পাবেন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা শুধু সোহেলকে-ই টাকা দেই নাই, টাকা দিয়েছি এই হাওলার রাইস ঘরটি দেখে। এদিকে লাল মিয়া ও আমির হোসেন বলেন, আমরা অসহায় ব্যাংক থেকে ধার দেনা করে লোন নিয়ে ব্যবসার জন্য হাওলাদার রাইসকে টাকা দেই।
ঘর মালিক টাকা দিতে ঘরিমশি করলে জেলা প্রশাসক বরাবরে পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য দরখাস্ত করি। তারই ধারাবাহিকতায় সহকারি কমিশনার চাউল মালিক সমিতিকে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্শেদ দেন। এরপরই তারা গোপনে স্থানীয় প্রভাবশালি মেসার্স মিজান ট্রেডার্স ব্যবসায়ী জসিম এর কাছে রাধের আধারে ঘরটি তার দখলে বুজ দিয়ে পালিয়ে যান ঘর মালিক সোহেল এর ভাই শাখাওয়াত হোসেন।
এ ব্যাপরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মেসার্স মিজান ট্রেডার্স এর মালিক জসিম জানেন পাওনাদারেরা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির কাছে বিচার চেয়েছে। তারপরও কোন যোগ-সাজসের কারনে এবং কোন ক্ষমতার বলে পাওনাদারেরা টাকা পাবেন হাওলাদার রাইস এর মালিকের কাছে তা জেনেও তিনি মালিক সোহেল ও শাখাওয়াতকে রাতের আধারে পালাতে সাহায্য করেছেন মেসার্স মিজান ট্রেডার্সের মালিক মোঃ জসিম। এই টাকা আত্মসাথের সাথে জসিমও জরিত থাকতে পারে বলে ধারনা পাওনাদারদের।
এ বিষয় চাউল আড়ৎ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ইফরানুর রহমান মিথুন মোল্লা জানান, ভোলা ডিসি অফিস থেকে আমাদের মালিক সমিতির কাছে একটি অনুলিপি পাঠিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা লাল মিয়া মিয়ার সাথে কয়েক বার পাওনাদারদের দেনা পাওনা নিয়ে ধাপে ধাপে বসেও ব্যর্থ হয়েছি। কারন তারা আমাদের সাথে বসেও তারা বসে নাই। তিনি আরো জানান, হাওলাদার রাইস এর মালিক সোহেল ও তার ভাই রাধের আধারে পালিয়ে যাবে এটা আমরা বিশ্বাস করতে পারি নাই। আমার জানামতে তাদের কাছে ভেলুমিয়া, ভেদুরিয়া, ইলিশা, ভোলা সদরের বহু ব্যবসায়ীরা আনুমানিক প্রায় দের থেকে দুই কোটি টাকা পাবেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।