ব্রেকিংঃ

মইনুল হোসেন বিপ্লবের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ভোলায় নিন্দার ঝড়।।

এম রহমান রুবেল ॥ ভোলা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মইনুল হোসেন বিপ্লবের নামে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভোলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। আরো তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা মনে করছেন তরুণ আওয়ামীলীগ নেতা মইনুল হোসেন বিপ্লব’র জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল সমাজিকভাবে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করছে। তাই এখনই এসব মিথ্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংবাদিক হাসনাইন আহমেদ মুন্না মনে করেন, ১৬ ডিসেম্বরের মহান বিজয় দিবসের একটি সভায় জেলা আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় নেতা মইনুল হোসেন বিপ্লব’র বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা করছে কু-চক্রী মহল। বক্তব্যের খন্ডিত অংশ প্রচার করে মূল কথা আড়াল করতে চায়। যা স্পষ্ট মানহানীর সামিল। মইনুল হোসেন বিপ্লব যা বলছেন বা বলতে চেয়েছেন সেটা বিকৃত করে উপস্থাপনের মাধ্যমে আওয়ামী পরিবারে বিরোধ সৃষ্টিই এদের মূল উদ্দেশ্য। তাই এসব অপ রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান সাবেক এই ছাত্রনেতা।
ভোলা থিয়েটারের সাধারন সম্পাদক আবিদুল আলম আবিদ বলেন, মইনুল হোসেন বিপ্লব একজন মেধাবি, চৌকস এবং জীবন্ত কিংবদন্তী তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয়ের আদর্শে বড় হওয়া এমন একজন শিক্ষিত রাজনীতিবিদ। এধরনের রাজনীতিব বর্তমান প্রজন্মে পাওয়া বিরল। তিনি ভোলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এমন কোন সাংস্কৃতিক সংগঠন নেই যে, তিনি তাদের সহযোগিতা করেন নাই। পারিবারিকভাবে সকলের পাশে থাকেন। এমন একজন মানুষের বক্তব্যের অপ ব্যাখা দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ভুল ব্যাখা প্রকাশ করাটা আসলে রাজনৈতিক নোংরামি ছাড়া আর কিছু না। যারা এসমস্ত নোংরামি রাজনীতি করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম আজিজ উপজেলা আ’লীগের পক্ষে বলেন, ১৬ ডিসেম্ভর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সেই দিন জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব এর বক্তব্যকে দলের সিনিয়র নেতাদের ভিন্নভাবে বুঝিয়ে অপপ্রচার করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। সাথে সাথে যারা এসব অপপ্রচার করে বেরাচ্ছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক আবু ছায়েম বলেন, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব কাউকে ছোট করে বক্তব্য দেননি। সেই দিন তার বক্তব্য ছিল শেখ তন্ময় ও নাঈম রাজ্জাককে নিয়ে সে বলেছিল দলের প্রয়োজনে তাদেরকে যেখানে দেওয়া হবে, তাদের যোগ্যতার বলে তারা সেখানেই শুনামের সাথে যোগ্যতা দিয়ে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন। অথচ একটি স্বার্থান্বেষি মহল ফেসবুকে ফ্যাক আইডির মাধ্যমে সেদিনের আসল বক্তব্যটি না দিয়ে অন্য বক্তব্য কাটিং করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিপ্লবের জনপ্রিয়তা নস্ট করে আ’লীগ পরিবারের মাঝে ভুল বুঝা-বুঝির মত ঘটনা ঘটানোর চেস্টা চালাচ্ছে। এটা কখনো সম্ভব হবে না, কারণ এটা বাংলার মানুষ জানে ও বুঝে।
ভোলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রবীণ সাংবাদিক, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর ভাষানি মঞ্চে মইনুল হোসেন বিপ্লব তার বক্তব্যে কাউকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছোট করে বক্তব্য দেননি। তিনি সেইদিন বলেছিলেন যোগ্যতা থাকলে যে কেউ তার যোগ্যতা বলে ভালো জায়গায় আসতে পারে।
তিনি আরো বলেন, একটি কু-চক্রি মহল সেই বক্তব্যটিকে নোংরাভাবে বিশ্লেষণ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেদিনের বক্তব্যটি ভিন্ন ক্ষাতে নেওয়ার চেস্টা করে মইনুল হোসেন বিপ্লব এর জনপ্রিতা ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠছে। সেদিন আমি ও বাংলারকণ্ঠের সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা এম হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলাম।
এ ব্যাপারে জেলা সচেতন নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সফিকুল ইসলাম বলেন, মইনুল হোসেন বিপ্লব একজন জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে এবং আ’লীগ পরিবারে জন্মগ্রহন করে কখনো-ই কাউকে খাটো করে কোন কথা বলেন নাই এবং দেখেনও নাই। তিনি একজন আদর্শিক রাজনীতিবিদ। তার রাজনীতির শিষ্টাচার খুব মার্জিত। বিপ্লব রাজনীতির মাঠে সর্বস্তরে জনপ্রিয়তা দেখে একটি গ্রুপ ফেসবুকে উস্কানিমূলক কথা লিখে আ’লীগ পরিবারের মধ্য দ্বন্দ্ব লাগানোর চেস্টা চালাচ্ছে। এটা কোন দিনও সম্ভব হবে না ইনশাল্লাহ। একটা কথা মনে রাখবেন, বিপ্লব এর রাজনীতি নস্ট হবে না। কারন বিপ্লব তার জন্য রাজনীতি করে না, করে জনগনের জন্য। সুতরাং বিপ্লবের কর্মকান্ডে ভোলার মানুষ তাকে অনেক ভালোবাসে।
ভোলা জেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব বলেন, তারুণ্যের অহংকার, ভোলার যুব সমাজের আইডল, তরুণ মেধাবি ও চৌকস এবং মুজিব আদর্শে আদর্শিক জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব এর জনপ্রিয়তা দেখে একদল মাদকাক্ত, ফেসবুক ফ্যাক আইডি ব্যবহারি তার জনপ্রিয়তা দেখে গাঁ জ্বালা করছে। তাই তারা মহান বিজয় দিবসের একটি সু-মার্জিত বক্তব্যকে কাটিং করে ফেসবুকে অপপ্রচার করে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে লাইম-লাইটে আসার জন্য তার ভাবমুর্তি নস্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে। নকিব আরো বলেন, যারা এমন কাজ করছে এমন কুলাঙ্গাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।