ব্রেকিংঃ

ভোলায় আয়শার ৭ একর জমি দখলে নিতে ভূমিদস্যুদের কু নজর, জমি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা।।

স্টাফ রিপোটার।।
ভেলুমিয়ায় আয়শার ৭ একর জমি দখলে নিতে ভূমিদস্যু হারুন গংদের কু নজর পরেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চর গাঁজির চরের ৬ নং ওয়াডে।

ঘটনা সুত্রে জানা যায়, এই জমির প্রকৃত মালিক এস এ রেকটের মালিক মনোরমা দেবি স্বামী রমনী মহন ঠাকুর
১০ একর ৯২ এর শতাংশ মালিক হওয়ায়।
দীর্ঘ কয়েক বছর জমিটি অবহেলায় পরে থাকায়
তার আত্নীয় স্বজন কেউ না থাকায় সরকারের খাজনা পরিষদ না করায় সরকার ৯৮ বৌ ৮৩/৮৪ তে সার্টিফিকেট মোকাদমার মাধ্যমে নিলাম দেয়।

পরবর্তিতে সরকার নিলাম দেওয়ার পর থেকে মনোরমার কাউকে খুজে না পাওয়া গেলে তখণ সরকার ১০ হাজার ৮ শত ৫০ টাকায় ডিসিআর কেটে আঃ মালেক মাস্টারের এর স্ত্রী বিবি আশয়া কে জমিটি বুজিয়ে দেন।

সরকার বয় নামা ও দখল নামা দিয়া পৃথক জমা খারিজ খতিয়াং খুলে দিলে ১৬১/২
৮৪/৮৫ তে থেকে এ পর্যান্ত আয়শা বেগমেরা জমিটি ভোগ দখল করে পূর্বের ন্যায় জমিটি তাদের দখল সুত্রে ভোগদখল করে আসছে।

স্থানীয় ভুমিদস্যুরা রাবেয়া নামক একজনের একটি চুক্তিনামা দেখিয়ে জমিটি দখল করার জন্য হারুন মাঝি কালিমুল্যাহ,আঃ হক পাটাওয়ারি,জয়নাল আবেদিন পাটাওয়ারি, মোশারেফ মাল বশির সহ স্থানীয় একটি ভুমি দস্যু চক্র জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এবং জমিটি দখলে নিতে রাত আর দিন নেই পর্যায়ক্রমে তারা তাদের লাঠিয়ালি বাহিনী দ্বারা একের পর হামলা মামলা সহ ভুমিদস্যু বাহিনীটি ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন।

এদিকে মোশারেফ গংরা একটি চুক্তিনামায় জমি নিজের দেখিয়ে কোটে এমপি বাদি হয়ে ১৩/১৮ একটি মামলা দায়ের করে।

কোটে মামলা দায়ের পর কোট উভয় কে জমিতে চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
জমিটির সাথে সম্পৃক্তা নেই জামাল নামে একজন আসামি করে তার নামে মামলা করা হয়। পরবর্তিতে কোট জামাল কোন সম্পুক্ততা না পেয়ে জমিটির ভোগদখল সুত্রের মালিক
আয়শার ছেলেকে মামলায় আসামী করা করা হয়।

এদিকে জামাল জানান আমি একজন চাষাবাদ জমির সাথে আমার কোন সম্পৃক্তা নাই ভুমিদস্যু হারুন মাঝি, মোশারেফ গংরা প্রকৃত জমির মালিক কে না পেচিয়ে অন্যদের মামলায় জরানোর অভিযোগ করেন ভুক্তভোগিরা।

পরবর্তিতে ২৩/০৯/১৯ ইং সনে মামলাটি বিজ্ঞ আদালত নতি জাত করে দেয়।

কোট বাদি মোশারেফ গংদের কাগজ পত্র পর্যাচনা করে বিবাদি পক্ষের আয়শাদের দিকে রায় দেন বলে জানান এই মামলার বিবাদি পক্ষ আয়শা গংরা।
ঐ রায়ের সুত্র ধরে আয়শা বেগম জমিটি ভোগ দখল নিয়ে অধ্য পর্যান্ত খাচ্ছে।

অন্যদিকে সরকারে রায়ে বাদি মোশারেফ গংরা সন্তুটু প্রকাশ না করে লাঠিয়ালি বাহিনী দিয়ে জমিটি ভোগদখল করতে গেলে সরকারের ডিসিআর প্রাপ্ত জমির প্রকৃত মালিক আয়শার বাসুর ছেলে জামাল জমিটি রক্ষার্থের দায়িত্বে থাকাকালিন তিনি ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির পরিপ্রেক্ষিতে ঘঠনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শনে গিয়ে বিবাদি হারুন কে কাগজ নিয়ে ফাঁড়িতে আসতে বললে বিবাদি হারুন কাগজ দেখাতে না পুরায় তখন মামলা টি ৫/১২/২০ কোটে প্রেরন করেন।
কোট জমিতে কাউকে চাষাবাদ করতে না বলে দেয়।
তখন হারুন মাঝি,মোশারেফ মাল এর ভুয়া চুক্তিনামায় আদালতে তাদের পক্ষে মামলায় জমি টি না পেয়ে এখন গাঁয়ের জোরে জোর পূর্বক জমিটি দখল নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।
এবং একদল সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আয়শার চাষা জামালকে মেরে কেটে বোস্ত বরে নদীতে ফেলে দিবে বলে হুমকি দামকি দিচ্ছে এমনটাই অভিযোগ করেন জামাল ও তার পরিবার।

এব্যাপারে হারুন মাঝির সাথে মুঠো আয়শার জমি কোন সুত্রে দাবি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ফোনে তিনি প্রতিবেদক কে জানান, আমি সরা সরি কথা বলবো ভাই আপনাকে ফোনে বলবো না এমন কথা বলে ফোনটি কেটে দেন।

ভুক্তভোগিরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহদয়ের কাছে নিরাপদে থাকতে এবং জমিটিতে ভুমিদস্যু হারুন গংদের কাউকে চাষাবাদ করতে না দেওয়া হয় সে ব্যাপারে সার্ভিক সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ।
ভেলুমিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানান দীর্ঘ বছর এই জমি নিয়ে মামলা প্রক্রিয়া চলমান তাই আমরা সমাধান করতে পারি নাই। কোন গ্রুপই আমাদের কথা শুনেন না।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।