ব্রেকিংঃ

ভোলায় এমপি জ্যাকব এর আত্নীয়রা মধুমতি ব্যাংক থেকে হাজারো কোটি টাকা আত্নসাৎ করায় সংবাদ সম্মেলন।

স্টাফ  রিপোটার।।

ভোলায় এমপি জ্যাকব এর আত্নীয়রা মধুমতি ব্যাংক শাখা থেকে হাজারো কোটি টাকা আত্নসাৎ করায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন, সম্প্রতি মধুমতি ব্যাংক থেকে অভ্যহতি পাওয়া ব্যাবস্থপনা পরিচালক রেজাউল করিম।

বুধবার ২০ জানুয়ারী দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য সাবেক ব্যাবস্থপনা সম্পাদক মো: রেজাউল করিম এমন দাবী জানান।
এসময় তিনি তার নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও স্ব-পদ ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি নিজেকে নির্দোশ দাবি করেন।

তিনি বলেন, মধুমতি ব্যাংকের ভোলার চরফ্যাশন শাখার ব্যাবস্থনা পরিচালক পদে দু বছর যাবত পদায়ন হলেও এর সকল কার্যক্রম স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাই জাহিদুল ইসলাম সৌরভ, তার ভাতিজা মধুমতি ব্যাংকের চরফাশন শাখা অফিসার তরিকুল ইসলাম শরিফ নিয়ন্ত্রন করতো।
না বলেই ব্যাংকের ক্যাশ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে কোথায় খরচ করতো বা কাকে দেয়া হতো তা জনলে চটে উঠতেন। এবং রাতের আধারে শত শত কোটি অবৈধ টাকা ব্যাংকের ভোল্টে রাখা হতো । তা জনতে চাওয়া হলে তার উপর প্রেশার করা হতো বলে অভিযোগ করে রেজাউল করিম।

রেজাউল করিম আরো বলেন, তার উপর আনিত ১২টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে আট কোটি ৯৫ লক্ষ টাকার গড়মিলের অর্থের ছয় কোটি ১০ লক্ষ টাকা জাহিদুল ইসলাম শুভ তার বিকাশ ব্যাবসার জন্য সকালে নিয়ে যায় এবং ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা শরীফ ¯স্থানীয় সংসদ আবদুল্লাহ আল ইসলামের ব্যাবসার জন্য নিয়ে আর ফেরত দেননি বলে অভিযোগ করেন। তারা সব সময়ই এমন টাকা নিয়ে যেতেন আবার বিকেলে আথবা পরে দিয়ে যেতেন। তবে এবার টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করেন। এদিকে জাহিদুল ইসলাম ও শরীফ ব্যাংকের ভল্টের টাকা গ্রামীন এন্টারপ্রাইজ, চার দেয়াল ডেকোরেটর, কায়িফ এন্টারপ্রাইজ, মো: জাহিদুল ইসলাম, উপকূল ব্রিকস, মিলন ট্রেডার্স, মা ট্রেডার্স, উপকূল কনস্ট্রাকশন,রুহি ফার্নিচারসহ ১১টি একাউন্টের মাধ্যমে কয়েক হাজারো কোটি টাকা অনৈতিক লেনদেন করে তারা। জাহিদুল ও শরীফ এর এসব অর্থের কথা জানতে পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ তোলেন বলে জানান, রেজাউল করিম। তারা মধুমতি ব্যাংক চরফ্যাশন শাখাকে পারিবারিক অবৈধ লেনদেনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করেন।

উল্লেখ, ভোলার বাসিন্ধা রেজাউল করিম মধুমতি ব্যাংক ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শাখায় ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে কর্মরত থাকার পর চলতি বছরের ১৪ই জানুয়ারী মধুমতি ব্যাংকের এক অডিট এন্ড ইন্সপেকশনে ১২টি পে-অর্ডারের বিপরিতে তার বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা গড়মিলের অভিযোগ তোলেন। বলা হয় বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করা হলেও তা পরে ভোল্টে জমা রাখেননি তিনি। তবে রেজাউল করিম বলেন, এসব টাকা তিনি উত্তোলন করে জাহিদুল ইসলামকে ও শরীফকে দিয়েছেন । তারা তা ফেরত দেন নি। পরে জাহিদুল ইসলাম ৪৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দিলেও তার একাউন্টে অর্থ না থাকায় তো ক্যাশ করা সম্বভ হয়নি।

এদিকে অভিযোগকারী হিসেবে জাহিদুল ইসলাম সৌরভ বা তরিকুল ইসলাম শরীফ কারো সাথেই কথা বলা সম্বব হয়নি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।