ব্রেকিংঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিনের সেই যৌতুক লোভী বিজিবি সদস্য পুলিশের হাতে আটক।।

এম রহমান রুবেল।। ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় দেউলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে ফরাজি বাড়ির যৌতুকলোভী স্বামী বিজিবি সদস্য আল আমিনের বিরুদ্ধে ৬ মাসের অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় বুধবার রাতে থানায় মামলা করেছে তার শ্বশুর জাহাঙ্গীর আলম।

এ ঘটনায় ওইদিনই স্বামী

বিজিবি সদস্য আল আমিনকে আটক করে পুলিশ।বৃহস্পতিবার সকালে আটককৃতকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার সুত্রে জানা যায় , অভিযুক্ত স্বামী আল আমিন (১০০৪১৮ নং সিফাহী) ২৯ বডার গার্ড ব্যটালিয়ন ফুল বাড়ি থেকে বর্তমানে ফেনি ৪ বিজিবিতে কর্মরত আছেন।

তার সাথে লালমোহন উপজেলার দেবীরচর ইউনিয়নের বগিরচর এলাকার জাহাঙ্গীর আলম মাষ্টারের কন্যা মহিমা খানম এর সাথে ৩ বছর আগে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই আল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের দাবিতে মহিমাকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করত। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাই আল-আমিন ও তার পরিবারকে পর্যায়ক্রমে ৭ লাখ টাকা প্রদান করেন। দিনাজপুর ফুলবাড়িয়া বিজিবি ক্যাম্পে বসবাসকালেও তার মেয়েকে মারধর করেন আল আমিন ।

বিষয়টি নিয়ে ওই ক্যাম্পে অভিযোগ দেয় আল আমিনের শ্বশুর। তখন আর নির্যাতন করবে না মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয় আল আমিন। বর্তমানে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তার মেয়ে। আল আমিন কয়েকদিন যাবত পুনরায় ২ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য তার মেয়েকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ওই টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে আল আমিন ছুটিতে এসে তার পরিবারের সদস্যরাসহ তার মেয়েকে বেধড়ক মারধর করেন।

মোবাইল ফোনে তার মেয়ে বাবাকে বিষয়টি অবগত করেন। ২৮ এপ্রিল তার বাবা মেয়েকে আনার জন্য তার ২ সন্তানকে নিয়ে জামাই বাড়িতে যায়। তখন আল আমিন ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকেও মারধর করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মহিমা খানমকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

অন্যদিকে বিজিবি সদস্য আল আমিনের বাবা হেলাল উদ্দিন ফরাজির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে বিয়ের সময় মোটরসাইকেল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা মোটরসাইকেল না দিয়ে নগদ ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দিয়েছে। সেখানেও ১০ হাজার টাকা কম দিয়েছে।

বোরহানউদ্দিন থানার (ওসি) মাজহারুল আমিন বিপিএম জানান, থানায় মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।