ব্রেকিংঃ

ভোলার ৫টি ইউনিয়ন ইলিশার হাইওয়ে রাস্তার সাথে যুক্ত থাকায় আতংকে জীবন কাটাচ্ছেন ইলিশার মানুষ।।

নুরউদ্দিন আল মাসুদ।।

ভোলার ইলিশার সড়কে কখনো মালবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পরে শিশুর মৃত্যু, কখনো বাস-সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুল শিক্ষক নিহত,কখনো বা হোন্ডায়-হোন্ডায় মুখোমুখি সংঘর্ষে ঝরে গেল তাজা প্রাণ এমন খবর নিয়মিতই বাংলাদেশের মানুষের চোখে পড়ছে।তবে আজও রোধ হয়নি এ সমস্যা। কিংবা বিকল্প কোন প্রতিকারও মিলেনি ইলিশার নদীবেষ্টিত মানুষের।

ভোলা -১ আসনের বাপ্তা,পশ্চিম ইলিশা,পূর্ব ইলিশা,কাচিয়া, রাজাপুরসহ ৫টি ইউনিয়ন ইলিশার হাইওয়ে রাস্তার সাথে যুক্ত থাকায় আতংকে জীবন কাটাচ্ছেন ইলিশার মানুষ।এই ৫ টি ইউনিয়নে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার জনসংখ্যা থাকলেও নেই এদের জীবনের কোন নিরাপত্তা- এমনটাই দাবি ইলিশাবাসীর।

কেননা ইলিশা টার্মিনালে গ্রিনলাইন, ফেরি,লঞ্চ, জাহাজ,স্পিডবোট, ট্রলারসহ একাধিক যান এই ঘাটে ভিড়ার কারনে প্রতিদিন লক্ষাধিক গাড়ি চলাচল করে ইলিশা সড়কে।ফলে যানজট তো নিয়মিত বেড়েই চলছে।

তবে ভোলা সদর থেকে গ্রিনলাইন কিংবা ফেরিতে তাদের গাড়ি কিংবা যাত্রী দ্রুত উঠাতে গিয়ে গাড়ির চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায় এবং নিয়মিত সড়ক দূঘর্টনা ঘটায়।এতে সড়ক দুর্ঘটনায় গত এক বছরে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই সড়কে।

ঠিক তেমনি গতকাল সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে বাপ্তা ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি দ্রুতগামী ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাশের পুকুরে পড়ে যায়।এতে ৩ জন গুরুতর আহত হন।

তবে ইলিশাবাসীর দাবি,ভোলা জেলা পুলিশ সুপার চাইলে ট্রাফিক সেক্টরের মাধ্যমে ইলিশা সড়কে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো নিয়ন্ত্রন করতে পারেন।তবেই মুক্তি পাবে ইলিশার মানুষগুলো।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।