ব্রেকিংঃ

ভোলায় যুবলীগ নেতা টিটু হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের স্ত্রী।।

এম রহমান রুবেল।।

ভোলায় যুবলীগ নেতা টিটু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের চেযে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের স্ত্রী ও মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু।

বৃহস্পতিবার(০২ ডিসেম্বর) সকাল ১১.০০ টার সময় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত যুবলীহ নেতা টিটুর স্ত্রী বলেন,আমার স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। ছোট বেলা থেকে ই সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরা সরি জরিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ধনিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। সে ভোলায় সকলের কাছে আ’লীগের অন্তপ্রান কর্মী হিসেবে সমগ্র ভোলায় পরিচিত।

মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু নৌকা প্রতিক নিয়ে বার বার নির্বাচিত।
তিনি আমাদের পরিবারের একজন শুভাকাঙ্খী হওয়ায় আমার স্বামী তার নির্বাচনি প্রচারে অংশগ্রহণ করেন। তখন থেকে চকেট কামাল, চকেট জামাল ও তাদের ভাগ্নিনা শাহিন ও নীরব বিভিন্ন সময় আমার স্বামী টিটু কে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছিল।
তার পরে ও তিনি দলীয় আর্দেশের কারনে সে নির্বাচনী প্রচারনায় কখনোই পিছপা হয়নি।

গত ২৬/১১/২১ ইং তারিখ শুক্রবার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে মদনপুরে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান একেএম নাছির উদ্দিন নান্নু এর সাথে সেখানে গেলে সেখান থেকে ভোলায় ফেরার পথে ধনিয়া ইউনিয়নে নাছির মাঝি ঘাটে আসলে ঘাট থেকে ৪০০ কিলো মিটার দুরে দুইটি স্পীড বোট চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু ও তার ইউপি সদস্যদের লক্ষ করে এলোপাথরি গুলি ছোরলে তখন চেয়ারম্যান কে রক্ষা করতে আসলে তখন তাদের ছোরা গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
উক্ত ঘটনায় ভোলা সদর থানায় নিহত টিটুর বড় ভাই হানিফ ভুট্রু বাদী হয়ে জামাল,কামাল চকেট,হানিফ, নীরব সহ ১৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা করেন।যাহার মামলা নং ৬৩ মামলাটি ডায়রিভুক্ত হয় ২৭/১১/২১ ইং তারিখে। কিন্তু দুঃখের বিষয় মামলা এক সপ্তাহ পার হলে প্রশাসন এখনো পর্যান্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মমতাময়ী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি আমার স্বামী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আ’লীগের নিবেদিত কর্মী তার দুইটি ছেলে আমার স্বামী ও দুইটি বাচ্চার বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।

এদিকে চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২৭ তারিখে ধনিয়া নাছির মাছি ঘাট ৪ শত কিলোমিটার দুরে ঘাটের কাছা কাছি আমাদের লক্ষ করে দুইটি স্পীড বোট এসে এলোপাতাড়ি গুলি করে তখন আমাকে বাচাতে গিয়ে আমার ভাতিজা যুবলীগ নেতা টিটু গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসামীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, দৌলতখান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম ,পৌর মেয়র জাকির হোসেন,থানা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সহ প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ সহ নিহতে মা উপস্থিত ছিলেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।