স্টাফ রিপোটার।।
ভোলার রতনপুরে প্রবাসীর স্ত্রী সাথে অবৈধ কাজ করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়ে গনধোলাইর স্বীকার হন যুগীর ঘোলের ঔষুধ ব্যবসায়ী শরিফ।
গত ২৮/৪/২২ ইং তারিখ শবে বরাত রাত গনপূর্ত অফিসের সামনে রফিক মিয়ার বাড়াটিয়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রবাসীর ডাক চিৎকার শুনে আশে পাশের রোকজন এসে জরো হলে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হলে সেখান থেকে তাকে চাউলতাতুলির বাসায় এনে গনধোলাই দিয়ে প্রবাসী আলামিনের স্ত্রীর সাথে পরোকিয়ায় লিপ্ত ঔষুধ ব্যবসায়ী শরিফ কে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয় এলাকাবাসি।
গনমাধ্যম কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে ঔষুধ ব্যবসায়ী শরিফ প্রবাসী আলামিনের ভাড়া বাসায় তার স্ত্রীর সাথে রুমে আটকানো।
সেখানে শরিফ কে তার এই অবৈধ সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদক কে জানান আমরা উভয় আত্নীয়স্বজন তাই রাতে একটু দেখা করতে আসছি।
এতো রাতে প্রবাসী স্ত্রীর রুমে আপনি একা কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে শরিফ কোন উত্তর না দিয়ে কেদে দিলেন বলেন ভাই আমার ইজ্জত বাচান আমি আর এই বাসায় আসবো না কান ধরছি।
প্রবাসী আলামিন তিনি জানান আমি আমার স্ত্রী কে প্রচন্ড ভালোবাসি তাই দীর্ঘ ১৪ বছর বিদেশ খেটে আমি ২২ লাখ টাকা পাঠাইছি তার টাকার কোন হিসাব পাই নাই সব টাকা এই ঔষুধ ব্যবসায়ী শরিফ আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে আমাকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে।
আজ আমি শবেকদর রাতে নামাজ পড়তে গেছি নামাজ শেষ করে বাসায় এসে দেখি আমার স্ত্রীর সাথে শরিফকে রুমের ভিতর একই খাটে শুয়ে থাকতে দেখি। এই দৃশ্য দেখে আমি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়ি আমার এই অবস্থা দেখে শত শত লোক জন বাসায় শরিফ কে আটক করে এবং তিনি একাজ করলেন কেন সবাই যখন জানতে চাইলে তখন সকলের সামনে মাফ চাইছে তখন আমি বললাম মাফ চাইলেই হবে না আমার টাকা দিয়ে যাইতে হবে আমার সংসার ধ্বংশ করে দিছে ওর বিচার হতে হবে কেঁদে দেন প্রবাসী আলামিন।
এদিকে ঔষুধ ব্যবসায়ী শরিফের স্ত্রী মুক্তা স্বামীর পরোকিয়া ও প্রবাসী আলামিনের স্ত্রী আচিয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করে বলেন আমার স্বামী আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে।
যুগিরঘোলের ঔষুধ ব্যবসায়ী শরিফ ও প্রবাসী আলামিনের স্ত্রী আচিয়ার পরোকিয়া ও অবৈধ সম্পর্ক সম্পর্কে এলাকাবাসি তাদের নাম প্রকাশে জানান শরিফকে প্রায় সময় রাতে এবং দিনে সব সময় প্রবাসী আলামিনের ভাড়াটিয়া বাসায় দেখতে পেতাম কিন্তু তারা একে অন্যর আত্নীয় স্বজন হওয়ায় আমরা কিছুই জিজ্ঞাসা করার সাহস পেতাম না।
তাই তারা বলেন চোরের ১০ দিন গেরস্তের ১ দিন। অবশেষে স্বামীর হাতে ই পবিত্র দিনে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক হাতে নাতে ধরা খেল।
এই ঘটনায় ভোলা সদর থানায় জানালে ঘটনাস্থলে সদর থানার এসআই সোহাগ উপস্থিত হলে তারা উভয় সমঝোতায় গিয়ে মাফ চেয়ে এস আই সোহাগ কে চলে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
এব্যাপারে ভোলা সদর থানার ওসি জানান আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছে আমরা তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নিবো।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম রহমান রুবেল