ব্রেকিংঃ

ভোলার ছাত্রদল নেতা মাসুদ কে ফুল দিয়ে বরণ করলেন দলীয় নেতৃবৃন্দ।।

আশিকুর রহমান শান্ত

ভোলা প্রতিনিধি

ভোলা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ জামিনে মুক্তি পেয়েছে। সিএমএম আদালত থেকে জামিন পেয়ে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে বের হয়ে ভোলায় আসলে দলীয় নেতৃবৃন্দ ফুলের শুভেচ্ছা জানান ও বিশাল হোন্ডা বহর দিয়ে তাকে বরণ করে নেন।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা থেকে লঞ্চ যোগে ভোলায় আসেন ভোলা জেলা ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা। তাকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রায় পাঁচ শতাধিক হোন্ডা নিয়ে জাতীয়তাবাদী যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল সহ বিভিন্ন অংগসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী ইলিশা লঞ্চ ঘাটে এই নেতা কে ফুল দিয়ে বরণ করে হোন্ডা বহরে তাকে তার বাসায় নিয়ে আসেন। দলটির ত্যাগী এই নেতা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।

জামিনে বের হয়ে মিজানুর রহমান মাসুদ বলেন, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে কারামুক্ত হয়ে ফিরতে পেরেছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি। কারাগারের থাকাকালীন সময়ে আমার ও আমার পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছেন। কারাগারের থাকার কারণে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে দূরে ছিলাম। আন্দোলন সংগ্রামে আবারও সক্রিয় হবো। স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে কারাগারে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরা কারা ভীতি উপেক্ষা করে আন্দোলন সংগ্রাম পূর্বে ও করেছি, আগামীতেও করে যাব।

ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা মিজানুর রহমান মাসুদ কে ফুল দিয়ে বরণে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক ভোলা জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, ভোলা জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল আলম ফিরোজ, আশরাফ উদ্দিন বাপ্পী, জেলা যুবদল নেতা খোকন, যুবরাজ, ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক শফি, দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ সুমন, সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক দেওয়ান, আকবর কমান্ডার, ভোলা জেলা ছাত্রদলের দলের নেতা এমদাদ হোসেন, বশির খন্দকার ,নূর মোহাম্মদ রুবেল, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া বিল্লাল, যুগ্ম আহ্বায়ক পিয়াস, এমরান সহ প্রমুখ।

উল্লেখ্য গত ৭ই ডিসেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়া পল্টন থেকে মিজানুর রহমান মাসুদকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানা ও রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার সিএমএম আদালতে সর্বশেষ মামলার জামিন পেলে শুক্রবার ৫১ দিন পর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে শুক্রবার সকালে মুক্তি পান। তার আইনজীবী ছিলেন, এ্যাডভোকেট নিহার হোসেন ফাুরুক, ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।