ব্রেকিংঃ

ভোলায় কর্মরত পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পরির্দশক ফুটন্ত মনির সাময়িক বরখাস্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিদর্শক এক এক সময় একাধিক পরিচয় বহনকারী সাংবাদিক সম্পাদক পরিদর্শক মনির উদ্দিন ওরফে ফুটন্ত মনির সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছে।

১৩ই জুন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব মোঃ আসিব আহসানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ আদেশ জারি করা হয়।
অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, ভোলার দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ সহকারী শিরিন আক্তার এর দ্বারা পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী ইনজেকশন, ডিপো প্রভেরা ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। জন্ম নিয়ন্ত্রন সামগ্রী গ্রহণ, বিতরণ মনিটরিং ও সরকারী সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণসহ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় অভিযুক্ত কর্মচারীর তদারকি করতে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয় ইউনিয়ন পরিদর্শক মনির উদ্দিন ওরফে ফুটন্ত মনিরের বিরুদ্ধে। মনির ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার চর ফয়েজ উদ্দিনের সাবেক মেম্বার বশির আহম্মেদ মাস্টারের ছেলে। একই সাথে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে সংশ্লিষ্ট পরিবার কল্যাণ সহকারী শিরিন এ ধরণের অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পরেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। যার দায় মনির এড়াতে পারে না উল্লেখ করে তাকেও সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়।
মনির এর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১০১৮ এর ১২(১) দফা অনুযায়ী তাকে সরকারি চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এবং চিঠিতে আরো উল্লেখ থাকে বরখাস্তের আদেশ জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে গন্য হবে।
সূত্রে জানা যায়, পরিদর্শক মনির উদ্দিনের অধিনস্থ পরিবার কল্যাণ সহকারী শিরিনা আক্তার বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ে বিক্রয়ের অনিয়ম দুর্নীতির একটি অডিও ক্লিপ পরিদর্শক মনির উদ্দিনের হাতে আসলে তিনি তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে পাঠান। সেই সূত্রে অভিযুক্ত শিরিনা আক্তার ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে পরিদর্শক মনির উদ্দিনকেও সাময়িক বরখাস্ত করেন।
অভিযোগ রয়েছে, পরিদর্শক মনির বিভিন্ন সময় নিজেকে আল মাহমুদ মনির ‘দৈনিক আমাদের দেশ’ পত্রিকার ব্যুরো চীফ ভোলা জেলার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এছাড়াও তিনি কখন উকিল, কখনো শিক্ষক ও ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে বেড়ান। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ একাধিকবার তাকে সতর্কও করেছিলো।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।