চরফ্যাশন প্রতিনিধি:বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশনে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে ঢেউয়ের আঘাতে খেজুর গাছিয়া বেড়িবাঁধ ২৫০ মিটার ভেঙে গেছে। ফলে সেখানকার প্রায় ২ হাজার পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত জোয়ার পানির ঢেউয়ের আঘাতে উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন খেজুর গাছিয়া বেড়িবাঁধের একাধিক স্থানে দুই দফায় এই ভাঙন দেখা দেয়। এতে এলাকার অনেক ক্ষতি হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ঝুঁকিতে থাকা সেখানকার প্রায় ২ হাজার পরিবারের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আজ দুপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি ও চরফ্যাশন উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২(পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা,চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি নেতা আশ্রাফুর রহমান দীপু ফরাজী, সরেজমিনে গিয়ে মেরামত কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উদ্দ্যেশে বলেন, গত ২ জুন ঘূর্ণিঝড় শক্তি ও মন্থায় খেজুর গাছিয়া বেড়িবাঁধটি মেঘনা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে ২৫০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ওই বাঁধ নির্মাণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৪৫ লাখ টাকার বরাদ্দ করা হয়।
এরমধ্যে ডিপিএন টেন্ডারের মাধ্যমে চরফ্যাশন উপজেলা দুইটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বাঁধ নির্মাণের কাজ দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া দুইমাস সময়ের মধ্যে তারা বাঁধ নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে তারা মাটি ভরাটের কাজ করলেও তা হটাৎ করে আসাজোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে মাটি সরে যায়। কাজ এখনও চলমান। অপরদিকে আবারও গত শুক্রবার জোয়ারের পানির চাপে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি দ্বিতীয় দফায় ৯০ শতাংশ ভেঙে যায়। ওইদিন রাতেই উপজেলা প্রশাসন সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই ঠিকাদারকে দেয়া বাঁধ নির্মাণ কাজটি দ্রæত সম্পন্ন করার জন্য নিন্দেশ দেয়া হয়েছে। সাময়িক ভাবে বাধঁকে সুরক্ষার জন্য বাঁধ ভাঙন কবলিত স্থানে জিও ব্যাগ দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। ওই সময় বাঁধ নির্মাণ শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম রহমান রুবেল