ব্রেকিংঃ

প্রধানমন্ত্রীর উপহারে ভোলার গৃহহীনরা পাচ্ছে ৫’শ ১১টি ঘর

এম জামিল হোসেন ॥
প্রধানমন্ত্রী’র উপহার হিসাবে ৫’শ ১১টি বসত ঘর করে দেওয়া হচ্ছে গৃহহীনদের বসবাসের জন্য ভোলা সদর উপজেলায়। যাদের জমি আছে, ঘর নেই, সদরের ১৩টি ইউনিয়নে এমন ৫১১টি পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে এসব গৃহ প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘর সাড়ে ১৬ ফুট বাই সাড়ে ১৫ ফুট করে নির্মান হচ্ছে। ঘরগুলোর ফ্লোর পাঁকা, সামনে খোলা বারান্দা, আরসিসি পিলার, পাশে ও উপরে টিন দিয়ে ণির্মিত হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে স্যানেটারি ল্যট্রিনের সু-ব্যবস্থা।
প্রত্যেকটি ঘর নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা করে। এর মাধ্যমে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও ভাসমান মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। উন্নয়ন ঘটবে এসব পরিবারের কয়েক হাজার মানুষের জীবনমানের। আর তাই প্রচন্ড খুশি সমাজের অসহায় মানুষগুলো ঘর পেয়ে। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: কামাল হোসেন জানান, সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের গৃহহীন পরিবারের চাহিদামত স্থানে এসব ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গৃহহীনদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গৃহ নির্মানের প্রায় ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যার প্রাপ্তির ফলে সমাজের অবহেলিত মানুষগুলোর সামাজিক মূল্যায়ন বৃদ্ধিসহ প্রত্যাহিক জীবনের দূর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে। কাজের গুনগত মান বজায় রাখার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সরেজমিনে বাপ্তা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের উত্তর চরনোয়াবাদ এলাকায় গিয়ে দেখা যায় গৃহ ণির্মানের কাজ চলছে। ঘরের মালিক আবুল কালাম (৬০) বলেন, তিনি ক্ষুদ্র চা বিক্রেতা। এতদিন ঘর না থাকায় দোকানেই কোন রকমে থাকতেন। স্ত্রী আর সন্তানরা থাকতেন অন্যের ঘরে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়ায় এখন দুখের দিন শেষ। সবাইকে নিয়ে একসাথে থাকতে পারবেন।
স্থানীয় দরিদ্র দিনমজুর মো: মহিউদ্দিন (৩৫)। মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে কোন রকমের একটি ঝুপড়ীর মধ্যে বাস করতেন। অর্থের অভাবে ঘর করতে পারেননি। বর্ষা মৌসুমে ও শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হত তাদের। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে থাকবেন। আর কষ্ট পেতে হবেনা তাদের। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনেক দোয়া করছেন তারা বলে জানালেন মহিউদ্দিন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।