ব্রেকিংঃ

ভোলায় ঝুলন্ত লাস নিয়ে চলছে ঘুম্রজাল । প্রশাসন খুজে বেরাচ্ছে আসল রহেস্য

স্টাফ রিপোর্টার :

ভোলার বাপ্তায় সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া ঝুলন্ত লাশ নিয়ে চলছে ঘুম্রজাল। এটাকি আত্বহত্যা নাকি  পরিকল্পিত খুন ?, আর যদি হত্যাই হয় তাহলে কে করলো এ হত্যা । হত্যাটাকি আপন ভাই করলো নাকি অন্য কেউ হত্যা করে ভাইকে ফাসিঁয়ে দেওয়ার চেস্টা করছে। হতেও পারে দাম্পত্য জীবনে পারিবারিক কলহে স্ত্রী দ্বারা অথবা ভাইর সাথে চাচা চাচির জমিজমা নিয়ে বিরোধের স্বীকার হয়ে নয়তোবা আপন ভাইর দ্বারাই জীবন দিতে হলো নিহতকে। এমটাও হতে পারে এদের কেউইনা বরং অন্য কেউ এ জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়ে এতিম করলো দুটি নিস্পাপ শিশুকে। এ ঘটনা নিয়ে চলছে ব্যাপক দ্রুমজাল। সন্ধেহের তীর এখন কয়েক দিকেই। কে রয়েছে আধারে লুকিয়ে, আর কে রয়েছে আলোতে, এমন কৌতহলে ঘটনার মূল রহেস্য উদঘাটনের অপেক্ষায় রয়েছে সুশিল সমাজ। তথ্যসূত্রে জানাযায়, সদর উপজেলার বাপ্তা সুন্দর খালি নামক এলাকার মোঃ সিদ্দিক হাওলাদারের দুই ছেলের মধ্যে আলমাস বড় ছেলে এবং বাবুল ছোট ছেলে। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিলো। দুই ভাইয়ের মধ্যের এ বিরোধ পারিবারিক ভাবে চলছিলো সমাধানেরও চেস্টা। অপর দিকে মোঃ সিদ্দিক হাওলাদার ভাই আফসার ও ভাবি তহমিনা এবং ভাগ্নি জামাই সম্রাটের সাথে ছোট ছেলে বাবুলের সাথে দীর্ঘ দিন জমি জমা নিয়ে চরম ভাবে বিরোধ চলছিলো যা আইন আদালত পর্যন্ত গরিয়েছে অনেক আগেই। এখনো তুমুল বিরোধ চলছে তাদের। এছাড়াও ছোট ছেলে ভিকটিম সদ্য মৃত আলমাসকে প্রায় ৯ বছর পূর্বে দক্ষিন ইলিশার আব্দুল হাই মিয়ার মেয়ে মোসাম্মদ সালমা বেগমেকে বিয়ে করান পিতা সিদ্দিক হাওলাদার। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য জীবনে শারিরিক সমস্যা নিয়ে কলহ চলছিলো তাদের। শারিরিক সমস্যায় ডাক্তার দেখানো ছাড়াও পারিবারিক ভাবে বহুবার বসা বসি হয়েছিলো তাদের। এমন তথ্যই দিয়েছে সূত্র। সব মিলিয়ে ঝুলন্ত লাসের ঘটনার তীর ঘুরে ঘুরে এখন কয়েক দিকেই। আলোচিত এ ঘটনা নিয়ে চলছে ঘুম্রজাল আর রহেস্যর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রফিকুল ইসলাম ফিরোজ জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাপক তদন্ত ও পর্যালোচনায় মূল ঘটনা উদঘাটনের কর্যক্রম চলছে। খুব শিঘ্রই ঘটনার রহেস্য বের করতে পুলিশ ততপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে সদর উপজেলার বাপ্তা সুন্দরখালি এলাকায় গত ১৭ আগস্ট ভোরে সুপারী বাগানের ভিতর গাছের সাথে ঐ এলাকায় মো: আলমাস (৪৮)নামের এক ব্যাক্তির নিজ বাড়ির পার্শবর্তিী গহীন বাগান থেকে জুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভোরে তার লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসি। পরে এলাকাবাসি বাপ্তা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বারকে খবর প্রদান করেন এবং মেম্বার ভোলা সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বাগানের ভিতর থেকে জুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরত হাল শেষে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় লাশ। তবে আলমাসের স্ত্রীর অভিযোগ এর ভিত্তিতে মৃতের ছোট ভাই বাবুল কে আটক করেছে পুলিশ।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।