ভোলা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ

আবদুল্লাহ আল নোমান॥ আজ ভয়াল ২৫ মার্চ কালোরাত জাতীয় গণহত্যা দিবস । এই দিনটির স্মরণে ভোলা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানের সৈরাচারী শাসকের নির্দেশে পাকিস্তানী হানানদার বাহিনী কাপুরুষের মত পরিকল্পিতভাবে ঘুমন্ত মানুষের উপর ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে।
সেদিন প্রায় ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙ্গালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া তারাই লক্ষ্যে ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পূর্ণতা দিয়েছিল সেই ঘৃণ্য ইতিহাসকে। সেই দিন বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র নামে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়।
এ উপলক্ষে আগামীকাল ভোলার সকল স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসা সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কন্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন।গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী। গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মরনে বিশেষ মোনাজাত ও শহীদেও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাদ জোহর ভোলার সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিটের জন্য সারা দেশের ন্যায় প্রতিকী ব্লাক-আউট কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।