ব্রেকিংঃ

ভোলা চরফ্যাশন সপ্তম শ্রেণীর কিশোরী 2৮৫ ইয়াবাসহ আটক

স্টাফ রিপোর্টার হারুন শাহ: লিজা নামের ১৪ বছরের এক কিশোরী। বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খোদেজাবাগ গ্রামে। সে এ বছর চরফ্যাশন উপজেলার উদয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা সোহাগ ইয়াবা ব্যবসায়ী। মা কুলছুম বেগমও স্বামীর সাথে মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে পুলিশের অভিযোগ।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সোহাগ ও তার স্ত্রী কুলছুম বেগম পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ ঘরে ডুকে সোহাগের কিশোরী কন্যা লিজাকে পায়। এবং তাকে আলমারীর চাবি কোথায় কোথায় জিজ্ঞেস করে পুলিশ। লিজা চাবির কথা স্বীকার না করলেও এক পর্যায়ে তার মাঝায় চাবি পাওয়া যায়। পরে চাবি দিয়ে আলমারী খুলে তল্লাশী চালিয়ে ৮২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশ লিজাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে লিজা ও তার বাবা সোহাগ, মা কুলছুম বেগম এবং প্রতিবেশী রিপনকে আসামী করে মাদক আইনে মামলা করে লিজাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
চরফ্যাশন থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আজিজ জানান, লিজাকে ইয়াবাসহ পাওয়া যায়নি। তবে যে আলমারীতে ইয়াবা পাওয়া গেছে সে আলমারীর চাবি তার কাছে থাকা সত্বেও সে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুল আরেফিন জানান, এদের মধ্যে পলাতক রিপন কক্সবাজার থেকে ইয়াবা আনার কাজ করতো। লিজার বাবা সোহাগ ও মা কুলছুম এগুলো বিক্রির কাজ করতো এবং লিজা তার মাকে সহযোগীতা করতো।
তিনি আরও জানান, আলমারীতে ইয়াবা আছে এটা জেনেই লিজা আমাদেরকে চাবি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এবিষয়টি নিয়ে চরফ্যাশনে তোলপার চলছে। ফেসবুকেও থেমে নেই প্রতিবাদী মানুষেরা। তবে প্রশ্ন হলো লিজা কি আসলেই দোষী নাকি বাবার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে তাকে। এসকল কুলাঙ্গার ইয়াবা ব্যবসায়ী বাবাদের জন্য লিজার মত কিশোরীদেরকে যেনো অন্যের পাপের সাজা ভোগ করতে না হয় এই দাবী চরফ্যাশনের সচেতন মহলের।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।