করোনায় বিপিএল ও হচ্ছে না এ বছর।
এম রহমান রুবেল।
ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাস তখন চূড়ান্ত অবস্থায়; সংক্রমণ বাড়ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে। এর মধ্যেও জুলাই থেকে টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে ইংল্যান্ড। পাশাপাশি চলেছে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ এবং টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টের খেলাও। আয়ারল্যান্ডেও হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট। ওদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে এখন জৈব সুরক্ষাবলয়ে চলছে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল)।
শ্রীলঙ্কায়ও দুই মাস ধরে ঘরোয়া ক্রিকেট চলছে। পাকিস্তানে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ঘরোয়া ক্রিকেট। স্থগিত হওয়া পিএসএলের সেমিফাইনাল এবং ফাইনালও হয়ে যাবে এর মধ্যে। আফগানিস্তানও তাদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ চালু করে দিয়েছে। এ মাসেই ভারতের আইপিএল শুরু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অথচ বাংলাদেশের অবস্থা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। ঘরোয়া ক্রিকেট মাঠে ফেরানোর কোনো তোড়জোড়ই নেই বিসিবির।
বিপিএলে অনেক বিদেশি লোকের এখানে আসার ব্যাপার আছে। কিন্তু অনেকেই হয়তো এখন বাংলাদেশে আসতে চাইবেন না।
আপাতত বিসিবির লক্ষ্য-বয়সভিত্তিক ক্রিকেট, হাই পারফরম্যান্স দল, বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও জাতীয় দলকে বিদেশ সফরে ব্যস্ত রাখা। প্রাধান্যের ক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেট পেছনের আসনে। অন্যান্য বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকেই শুরু হয় ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ বিপিএলের কার্যক্রম। কিন্তু এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বিসিবি বিপিএল আয়োজনের সাহস পাচ্ছে না। গত মার্চে স্থগিত হয়ে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ঠিকমতো হলেই নাকি বিপিএল আয়োজনের কথা ভাববে বিসিবি। কিন্তু সেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেরও এখন পর্যন্ত কোনো খবর নেই।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেছেন, ‘বোর্ডের ইচ্ছা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট আবার শুরু করা। প্রিমিয়ার লিগ যদি সফলভাবে করতে পারি, তাহলে বিপিএল করার চিন্তা করা যাবে।’ কিন্তু প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সিসিডিএম এ বছর লিগ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা দেখছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিসিডিএমের এক কর্মকর্তা কাল জানালেন, ‘এ বছর আর লিগ হচ্ছে না। সব আলোচনা বন্ধ।’ আর প্রিমিয়ার লিগ না হওয়ার অর্থ-এ বছর হবে না বিপিএলও। অক্টোবর-নভেম্বরে জাতীয় লিগ আয়োজনের চেষ্টার কথা শোনা যাচ্ছিল। সেই প্রক্রিয়াও থেমে গেছে করোনা পরিস্থিতিতে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে বিসিবির অনীহায়।