ব্রেকিংঃ

ভোলা কোর্টের সামনে গাড়িতে জাল টাকা রেখে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন।।।।

এম রহমান রুবেল।।

আত্মীয়ের দেওয়া মামলায় কোর্টের বাহিরে গাঁড়ি রেখে হাজিরা দিতে কোর্ট গেলে সেখান থেকে বের হয়ে গাঁড়িতে ওঠার আগেই গাড়ির সিটের নিচে থাকা জাল টাকাসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হন জেলা কৃষকলীগ নেতা ও ভোলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসের পাটাওয়ারি কাউসার সুজন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭/০১/২২ ইং তারিখ দুপুরে। কিন্তু নিজে তথ্য দিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন তিনি।
ভুক্তভোগী কাউসার সুজন বলেন, আমার সাখে আমার আত্মীয় মনির হাওলাদার সাথে জমিতে ঘর উত্তোলন নিয়ে দীর্ঘ দিন জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। সেই বিরোধে আমার নামে একটি মামলা হলে আমি গত ১৭ তারিখে কোর্টের বাহিরে আমার মোটরসাইকেলটি রেখে হাজিরা দিতে আসলে আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাতে আমার গাড়ির সিটের নিচে পিছন দিয়ে ৮ হাজার টাকার মত জাল নোট রেখে ডিবি পুলিশকে ফোন দিয়ে আমাকে ধরিয়ে দেয় তারা। আমাকে সন্দেহ ভাবে ধরে এনে ডিবি অফিসে নিয়ে আসে। সেখানে আমার সব ষড়যন্ত্র ও আত্মীয়ের সাথে বিরোধের কথা খুলে বললে জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম স্যারের নির্দেশে ডিবি ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে সব কিছু বিবেচনায় এনে আমাকে মুক্তি দেন এবং আমার আত্মীয় যে ফোন দিয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়েছে সেই অভিযুক্তকে ধরে এনেছে। প্রশাসনের এ ধরনের কর্মকান্ডে আমি খুশি হয়েছি। প্রশাসনকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ভোলা ডিবি ওসি শেখ মাহবুবুর রহমান দৈনিক ভোলার বাণী’কে জানান, আমাদেরকে এক সোর্স পরিচয় দানকারি ব্যক্তি ফোনে বলে স্যার একজনের গাড়িতে কিছু জাল টাকার নোট আছে। সেই তথ্য মতে আমাদের ফোর্স সেখানে গেলে গাড়ি সহ সুজন নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি অফিসে আনা হয়। ডিবির হাতে সন্দেহজনক সুজন জানান, তিনি পারিবারিক ষড়যন্ত্রের স্বীকার। তখন তার বক্তব্য অনুসারে সিসি টিভির ফুটেজ দেখে বিকাল সাড়ে ৪টায় ভোলা ডিবি’র এসআই রিপনসহ সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ভোলা সদর মডেল থানাধীন ভোলা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড থেকে তথ্যদানকারী মনিরুল ইসলাম (৪৫) কে ভোলা পৌরসভার ০২নং ওয়ার্ডস্থ জেলা রেকর্ড রুমের উত্তর পাশে কালভার্টের উপর থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্ত মনির হাওলাদার সব ঘটনা স্বীকার করেন। এরপর আটকৃত সুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির জানায় যে, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৬/০১/২০২২ খ্রিঃ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় অতি গোপনে সু-পরিকল্পনা ভাবে ০৮টি ১০০০ টাকার জাল নোট ও ০১টি ৫০০ টাকার জাল নোট ভিকটিম কাউসার আহমেদ সুজন (৩৫) এর মোটর সাইকেলের সিট কভারের ভিতরে রেখে দেই। পরবর্তীতে ১৭-০১-২০২২ তারিখ ১৬.১০ ঘটিকায় ডিবি পুলিশের একটি টিম কে অবহিত করি এবং মামলার ঘটনাস্থলে ডিবি পুলিশকে নিয়ে অপেক্ষা করি। কিছু সময় পরে ভিকটিম তার মোটরসাইকেল সহ আমাদের সামনে আসলে পুলিশ মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। আসামি মোটর সাইকেলের চাবি নিয়ে উক্ত মোটরসাইকেলের সিট কভার খুলে ০৮ টি ১০০০ টাকার জাল নোট ও ০১ টি ৫০০ টাকার জাল নোট বের করে।
তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় ৪৮৯-ক/ ৪৮৯-গ তৎসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-ক(খ) ধারায় মামলা করা হয়। যার নং-৩৭ তারিখ-১৭-০১-২০২২ইং। তথ্যদানকারি মনির হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে তার নামে মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরন করি। এছাড়া মনিরুল ইসলামের একটি পুরাতন ব্যবহৃত RKS মডেল এর ১০০ সিসির KEEW AY লাল রংয়ের মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য, আসামী গত কোরবানী ঈদের ২০২১ সালের মাস খানেক পরে লালমোহন থানাধীন ফরাজী বাজার ইকবালের নামক ব্যক্তির নিকট হতে ১০ হাজার টাকার জাল নোট সংগ্রহ করেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।