ব্রেকিংঃ

ভোলায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পুলিশ কর্মকর্তার শালিশী সমাধান।।।।

এম রহমান রুবেলঃ

ভোলায় শালিশের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তিতে মনোযোগী হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা।
ছোট ছোট বিষয়ে বিরোধীয় পক্ষগগুলোকে নিয়ে তাদের উভয়ের কথাগুলো শুনেন এবং স্বাক্ষিদের স্বাক্ষ্য নেন। এর পর তা মীমাশাংসা করে দেন। অনেক শালিস করেন গল্পের ছলে বলের মাধ্যমে। এমন অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছেন ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি এনায়েত হোসেন।

তিনি জানান অনেক সময় পারিবারিক সামান্য বিষয় থানায় আসেন অভিযোগ দিতে পরে উভয়েই সমাধান চান তারা। তাই তাদের সমস্যাগুলো নিজের মনে করেই দেখি। তাদের সুখ দুঃখের কথা গুলো শুনি। মানুষ যখন তার ক্ষোভের কথা মন খুলে বলতে পারে তখন তার ক্ষোভ অনেকটাই কমে যায়। আমি তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনি। তিনি বলেন,ছোট খাট বিষয়ে মামলা মোকদ্দমায় মানুষ জড়িয়ে তার সহায় সম্পদ সব নষ্ট করে পদে পদে হয়রানি হয়।তাই এগুলো আমাকে পীড়া দেয়।আদালতে দৌড়ে মানুষ সব নষ্ট করে। এসব থেকে পরিত্রান পেতেই শালিসে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যেগী হই উভয়ের অভিমতে। এতে পুলিশের প্রতিও মানুষের আস্থা বাড়ে।

এখন পুলিশকে ভয় নয়, আপন মনে করে জনগন। জানা যায়,গত এক বছরে সদর উপজেলায় ১০০ টির মত বিরোধ শালিসে নিষ্পত্তি করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন।
ভোলা সদর উপজেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসায় করেন সচেতনামুলোক সভা। যেন কোন বকাটে, মাদকাসক্ত ও ইভটিজারা মেয়েদের ইভটিজিং করতে না পাড়ে তাই সব শ্রেনী পেশা মানুষের কাছে নিজের মোবাইল নাম্বার ছড়িয়ে দেন।কেউ বিরোধে জড়ালেই তাকে যেন মোবাইল নাম্বারে জানাতে পারে।

ভোলা বাসি এমন কর্মকর্তার মিষ্টি হাসি ও প্রানবন্ত কথার মাধ্যমে শালিশ বিচার পেয়ে খুবই আনন্দিত।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।