ব্রেকিংঃ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কঠোর নির্দেশনা, ভোলায় সক্রিয় দালাল চক্র!!

স্টাফ রিপোটার।। ভোলা জেলায় নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি দালালচক্র অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে ওঠার খবর জানা যায়।। দালাল চক্র চাকরি পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চাকরিপদ প্রত্যাশীদের মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছেন। উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় একজন পদ প্রত্যাশী জানান,সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের আইডি থেকে চাকরি পাওয়ার আশ্বাস জানিয়ে দালাল চক্রটি পরীক্ষার হলে নানা সুযোগ-সুবিধা কথা জানিয়ে ও মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।। বিষয়টি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও জেলা প্রশাসনের বিশেষ দৃষ্টি কামনা করেন পদ প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী।।

উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পদের নিয়োগ পরীক্ষা সামনে ২২ এপ্রিল প্রথম ধাপে হতে চলেছে । সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। পরীক্ষার পদ্ধতি, বিগত পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ ও শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে জানাচ্ছেন রবিউল আলম লুইপা
পরীক্ষার পদ্ধতি ও মানবণ্টন : নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার মানবণ্টন ও সিলেবাস সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তবে বিগত দুই বছরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার (২০১৮ ও ২০১৯) প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রথমে ৮০ নম্বরের এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা (বাংলা ২০, ইংরেজি ২০, গণিত ২০, সাধারণ জ্ঞান, বিজ্ঞান ও কম্পিউটার ২০) ও পরবর্তী সময়ে ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এমসিকিউ পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, আর একেকটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কমে। উপজেলার শূন্য পদ, প্রাধিকার কোটা ও নারী-পুরুষের তারতম্যের কারণে এমসিকিউ উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে নম্বরের পার্থক্য দেওয়া যায়। এদিকে দুই ধাপে এই পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। আগামী সপ্তাহে পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে সাথে আলাপকালে এসব কথা জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন। তিনি জানান, ২২ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। কেন্দ্রের তালিকা নির্ধারণ এবং কোন কেন্দ্রে কতজন পরীক্ষা দিতে পারবে সে বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। কর্মকর্তারা এ সংক্রান্ত তথ্য প্রেরণ করার পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। কয় ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, এটি এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। তবে প্রাথমিকভাবে দুই ধাপে পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। প্রথম ধাপের পরীক্ষার ২২ এপ্রিল নেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। শুরুতে পদসংখ্যা ৩২ হাজার বলা হলেও পরে সেটি বাড়িয়ে ৪৫ হাজার করা হয়েছে। প্রাথমিকের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় নিয়োগ। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগের ২ লাখ ৪০ হাজার ৬১৯ জন আবেদন করেছেন। এরপর রাজশাহীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৪৩০, খুলনায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩, ময়মনসিংহে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৬, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৬, বরিশালে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪, সিলেটে ৬২ হাজার ৬০৭ এবং রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৬৬টি।

জেলা প্রশাসন ভোলা, ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ নিয়োগ বাস্তবায়ন কমিটির উক্ত বিষয়টির ভূমিকা নিয়ে আসছে বিস্তারিত….. ২য় পর্বে।।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।