ব্রেকিংঃ

টাকা ছাড়া ড্রেসিং-প্লাস্টার হয় না ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে।।

এম রহমান রুবেল ॥ টাকা ছাড়া ড্রেসিং এবং প্লাস্টারের কাজ করেন না ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স, ওয়ার্ড বয় জাকির। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে তার বাস্তব উদাহরণ পাওয়া যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার চায়ের দোকানদার মনির মঙ্গলবার রিক্সা থেকে পড়ে তার পা ভেঙে যায়। তিনি ড্রেসিং করতে আসেন ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে ড্রেসিং জন্য জরুরী কক্ষে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত ওয়ার্ড বয় এই সেবার জন্য তাঁর কাছে ৩০০ টাক দাবী করেন। তবে তার অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ২০০ টাকায় রফা হয়। বিনামূল্যে ড্রেসিং সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও তাকে ২০০ টাকা করে খরচ করতে হয়। শুধু মনির নয়, ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের বহিঃবিভাগে সেবা নিতে আসা সব রোগীকেই বিভিন্ন কারণে-অকারণে পদে পদে টাকা গুনতে হয়। টাকা নেওয়ার অভিযোগ মূলত হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়াদের বিরুদ্ধে।

এমনই একজন সেবা গ্রহিতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেসব সেবা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা, অর্থ খরচ না করলে তার সামান্যটুকুও মেলে না। সিনিয়র স্টাফ নার্স, ওয়ার্ড বয়রা একই জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার সুযোগ তারা এখন নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
মঙ্গলবার হাসপাতালটির বহিঃবিভাগে গিয়ে দেখা যায়, যেসব রোগী ড্রেসিং ও প্লাস্টার করেছেন তাঁদের প্রায় সবাইকে এর জন্য টাকা খরচ করতে দিতে হয়েছে। ড্রেসিংয়ের জন্য ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত রোগীর কাছ থেকে নিতে দেখা গেছে। আর প্লাস্টারের ধরনের ওপর নির্ভর করে টাকার পরিমাণ। তবে সে ক্ষেত্রেও ৪০০ টাকার কম নেয়া হয় না।
চিকিৎসা নিতে আসা সুমন বলেন, আমি রিক্সা থেকে পরেড় গিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে আসি। তখন জাকির নামের ওয়ার্ড বয় আমাকে বলে ২০০ টাকা না দিলে তিনি ড্রেসিং করবে না এবং ঔষধও দিবেন না। পরে নিরুপায় হয়ে টাকা দিলে ওয়ার্ড বয় জাকির আমার ড্রেসিং করেন এবং ঔষধও দেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের অসহায়রা টাকা না দিলে চিকিৎসার নামে পদে পদে হয়রানি হতে হয়। ভোলার এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালটি থেকে চাঁদাবাজদের সরিয়ে আমাদেরকে মুক্তি দিন।
অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয় জাকির এর সাথে কথা বললে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং জনসম্মুখে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না বলে জানান তিনি। তবে হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা: কে এম শফিকুজ্জামান কে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।