ব্রেকিংঃ

শিবপুরে চাচা ভাতিজা কে মেরে প্রতিপক্ষ কে ঘায়েল করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অভিযোগ,তদন্তের দাবি আহতের বাবার।।

স্টাফ রিপোটার।।

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অভিনব ফাঁদ পেতেছেন একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ কামাল (৪০) ।

ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৫ তারিখ সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামাল এক‌ই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহানের স্ত্রী এবং মেয়েদের এলোপাতাড়ি মেরে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় কামাল এর বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করে শাহজাহান। এই মামলা করার পর থেকেই কামাল শাহজাহানকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্নভাবে ফাঁদ পাততে থাকে। তার এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কামালের ভাতিজা রাকিবকে দিয়ে একটি নীল নকশা তৈরি করেন। তার অংশ হিসেবেই রাকিব এর গায়ে কামাল নিজেই ব্লেড দিয়ে আঘাত করে। আঘাত করে সাথে সাথে নিজেই চিৎকার দিয়ে ওঠে এবং পুলিশকে ফোন করে। কিছু সময়ের ভিতরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়।

তার পরে এটিকে কেন্দ্র করেই শাজাহান মাইনুদ্দিন আলমগীর সহ ৬ জন কে আসামি করে একটি হত্যার চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এতে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে বাড়ির মহিলাদের গালিগালাজ করে মারধর করতে আসে, তার জন্য কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।

রাকিবের বাবা মোঃ নিরব বলেন, আমার ছেলেকে আমার ভাই কালাম ও কামাল ব্লেড দিয়ে আঘাত করেছে। রাকিবের ডাক চিৎকারে ঘটনাস্থলে দৌড়ে এসে আমজাদ রাকিব কে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

রাকিবের বাবা বলেন, আমি খবর শুনে যখন দৌড়ে এসেছি তখন কামাল আমাকে আমার ছেলের কাছে যেতে দেয়নি। তারা আমার ছেলেকে নিয়ে কামাল নিজে বাদী হয়ে সাধারণ নিরীহ মানুষের নামে মামলা দায়ের করে।

আমার ছেলের পক্ষে মামলা দেওয়ার প্রয়োজন হলে আমি দেব, সেখানে কামাল কেন অতি উৎসাহী হয়ে আমি থাকতে আমাকে না জানিয়ে বাদী হয়ে মামলা দিল নিশ্চয়ই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মামলা দিয়ে বাড়ির সাধারণ মানুষদের হয়রানি করেন।
যাদের নামে মামলা দিয়েছে তাদের সাথে আমার ও আমার ছেলের সাথে কোন ধরনের বিরোধ নেই।
তাদের সাথে বিরোধ রয়েছে কামালের, সেই বিরোধের প্রতিশোধ নিতে আমার ছেলেকে ব্যবহার করে কামাল এ ধরনের নেককারজনক কাজ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যেন এর সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হয় এবং নিরপরাধ মানুষদের হয়রানি না করে।

উক্ত মামলার আসামি ওবায়দুল বলেন, ঘটনার দিন আমি গাড়ি চালাচ্ছিলাম বাসস্ট্যান্ড থেকে সদর রোডে। আমি জানিও না যে এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে অথচ পরে দেখি আমার নামে মামলা হয়েছে আমি আজ কয়েকদিন যাবত আমার ঘরে ঘুমাতে পারছি না আমাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

মামলার চার নাম্বার আসামি মহিউদ্দিন বলেন, ঘটনার সময় আহত রাকিবের বাবার দোকানে বসে আমি আর আমার ভাই চা খাচ্ছি সেখানে থাকা অবস্থায় রাকিবের বাবা থেকে এই খবর জানতে পারি এবং সে এটার সাক্ষী রাকিবের বাবা নিজেই অথচ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি মামলা দিয়ে সে মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছে মামলার ভয়ে আমি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

অত্র এলাকার বয়েজেষ্ঠ বৃদ্ধ হাফেজ মোঃ কালিমুল্লাহ বলেন, কামাল কিছুদিন পরপরই এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটান। ঘটনা ঘটিয়ে সে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করছে, যে ঘটনাটি ঘটেছে এই ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে কামাল, আমজাদ ও রাকিব ছাড়া আর কেউ ছিলনা তাহলে ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে এটি সহজেই বুঝা যায়।

আর যেই দিন ঘটনা ঘটিয়েছে সেই দিন রাতে ব্রিজের ক্ছে অ্যাম্বুলেন্স কে বা কারা রাখলো। সেই অ্যাম্বুলেন্স যুগে রাকিবকে হাসপাতালে নিয়ে গেল।
এর মুল রহস্য উদঘাটনে আমরা এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি যেন প্রশাসন এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয় এবং এই ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘটনা ঘটিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অপরাধে যেন কামালকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।