ব্রেকিংঃ

ভোলার তজুমদ্দিনে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ আহত-৪।।

আশিকুর রহমান শান্ত।।ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলার সম্ভবপুর ইউনিয়নে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের নারী সহ চারজন আহত হয়েছে।শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটের সময় তজুমুদ্দিন উপজেলার সম্ভবপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শিবপুর গ্রামের রফিক মেম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমান ও তার পরিবার তাদের মালিকানা জমি দীর্ঘ ৮২ বছর যাবত ভোগ দখলে রয়েছে। হঠাৎ করে নুরে আলম ও রশিদ গংরা ঐ জমি তাদের বলে দাবি করে করে। এ জমি নিয়ে দীর্ঘ এক বছর যাবত বিরোধ চলমান রয়েছে। উক্ত বিরোধ মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ একাধিকবার বসা হলেও প্রতিপক্ষ নুরে আলম গংরা কোন ধরনের কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারার কারণে স্থায়ী মীমাংসা হয়নি। গত শনিবার এর স্থায়ী মীমাংসার কথা থাকলেও স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান স্ট্রোক করার কারণে বিষয়টি নিয়ে আর মীমাংসা হয়নি। এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়েই প্রতিপক্ষ নুরে আলম ও রশিদ গংরা মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদেরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। আহত অবস্থায় মিজানুর রহমান ও তার ভাই রিয়াজ উদ্দিন এবং তাদের চাচা মোঃ জাফর মাটিতে পড়ে থাকলে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে ভোলার সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ২২ ও ২৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে মুক্তা বেগম।আহত মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার দাদার আমল থেকে আমাদের বাড়ির এই জমি আমরা ভোগ করে আসছি। কিন্তু কোন কারন ছাড়াই হঠাৎ করে নূরে আলম ও রশিদ গংরা এই জমি তাদের বলে দাবি করে। তারপরেও আমরা বলেছি যদি তোমাদের কাগজপত্র থাকে তাহলে আমাদের দেখাও, যদি তোমাদের হয় তাহলে আমরা তোমাদেরকে বুঝিয়ে দিবো। তারা সেদিকে কোন কর্ণপাত না করে একের পর এক আমাদের উপর হামলা ও মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান বিষয়টিকে মীমাংসার জন্য একাধিকবার ফয়সালায় বসেছেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ নূরে আলম ও রশিদ গংরা কোন ধরনের কোন কাগজপত্র না দেখাতে পারায় দীর্ঘ এক বছর যাবত এর কোন স্থায়ী মীমাংসা হচ্ছে না। তারপরেও গত শনিবার সাবেক চেয়ারম্যান এর স্থায়ী একটি মীমাংসা দিবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি স্ট্রোক করার কারণে এর মীমাংসা দিতে পারেনি। এই সুযোগে প্রতিপক্ষ নুর আলম ও রশিদ গংর তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।আহত রিয়াজউদ্দিন বলেন, নুর আলম, রশিদ, ইলিয়াস, মন্নান, সিরাজ এরা সবাই মিলে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করার জন্য ওত পেতে ছিলো। সামান্য সিম গাছ কে কেন্দ্র করে এরা সকলে দলবল নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলা চালিয়ে আমাদের কে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।আহত জাফর বলেন, এটি যদি তাদের জমি হয় তারা কাগজপত্র দেখিয়ে জমি নিয়ে যাক। কিন্তু তারা কাগজপত্র দেখাতে পারে না, গায়ের জোরে প্রতিনিয়ত আমাদের উপর হামলা ও মামলা চালায়। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। যারা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায়নে কঠিন শাস্তির দাবি করছি।স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল পাটোয়ারী জানান, মারামারি হয়েছে বিষয়টি একটি পক্ষতাকে জানিয়েছে। তিনি এর চেয়ে বেশি কিছু আর জানেন না।সম্ভুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল মারামারি হয়েছে এটি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি দুপুরে জানতে পেরেছেন। তবে এখনো বিস্তারিত ভাবে তিনি বিষয়টি জানেন না।এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইলিয়াস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জমি জমা নিয়ে মারামারি হয়েছে। তারা আমাদের মেরেছে আমরাও তাদের মেরেছি। তাদের লোকও মেডিকেলে ভর্তি আছে আমাদের লোকও ভর্তি আছে। তজুমদ্দিন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন উভয় পক্ষের জখম রয়েছে উভয়পক্ষেই মামলা হবে মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।