ব্রেকিংঃ

ভোলার কাচিয়ায় জমি বিরোধের জেরে বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ।।

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলার কাচিয়া ইউনিয়নে জমিজমা বিরোধের জেরধরে হামলা, বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট ও নারীদের শীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৭ জুন) সকালে সদরের কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাহামাদার গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। একই এলাকার বাসিন্দা মোঃ সমীর ও মোঃ খোকন গংরা এই হামলা, বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোঃ মিজানুর রহমান। হামলাকারীদের হুমকি-ধামকির ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী মিজানুর রহমানের সাথে জমিজমা নিয়ে স্থানীয় খোকন ও মোঃ সমীর গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। শনিবার (১৭ জুন) সকালে ওই বিরোধের জের ধরে খোকন গংরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র, লোহার রড নিয়ে মিজানের ভোগ দখলীয় জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ঘরের সামনে মিজানকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। মিজান গালমন্দ করতে নিষেধ করলে খোকনের নেতৃত্বে মোঃ সজিব, দ্বীন মোহাম্মদ, মোঃ ইব্রাহীম, মোঃ শুভ, মোঃ হারুন, মোঃ বিল্লাল, মাইনুদ্দিন, রেহানা, মরিয়ম, আয়শা, রিনাসহ ১০/১৫জনের একটি বাহিনী মিজানকে এলোপাথাড়ি মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
মিজানের আত্মচিৎকার শুনে তার স্ত্রী বিবি জহুরা, আঃ জলিল, মোঃ রুবেল এগিয়ে আসলে তাদেরকে হামলাকারী খোকন বাহিনী এলোপাথাড়ি মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে। হামলাকারীরা জহুরাকে শীলতাহানীর চেষ্টা করে ও তার সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এছাড়াও হামলাকারীরা ঘরবাড়ী ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে মালামাল নিয়ে যায়। মিজান ও জহুরার আত্মচিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারী খোকন বাহিনী মিজানকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে হামলাকারী খোকন বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, খোকন ও সমীর বাহিনী আমার ভোগদখলীয় জমিতে প্রবেশ করে আমাকে গালিগালাজ করে। তারা আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায় এবং আমাদেরকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। আমাদেরকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। লোকজন এসে আমাদেরকে রক্তাক্ত অবস্থায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলাকারীদের ভয়ে আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। খোকন বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা এই ঘটনায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খোকন ও সমীর গংদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
ভোলা থানার ওসি শাহীন ফকির বলেন, এই ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।