ব্রেকিংঃ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের দাবী ভোলার যুব ফোরামের।।

স্টাফ রিপোটার।। ভোলার যুব ফোরাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানিয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) যুব ফোরাম প্রতিনিধিদের মারফত জানা যায়, প্রতি বছরই হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করে, যার অন্যতম কারণ বিভিন্ন ধরনের তামাক পণ্য যেমন সিগারেট, বিড়ি, জর্দা গুল ইত্যাদির ব্যবহার।
যুব ফোরাম প্রতিনিধি মেঘলা জাহান বলেন, তামাক জাতীয় দ্রব্য যেমন বিড়ি, সিগারেট সেবন করার ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারসহ নানা রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়। ডরপের ট্রেনিং থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে, তামাক জাতীয় পণ্য সেবনের ফলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এছাড়াও লাখ লাখ মানুষ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের মতো রোগে আক্রান্ত হয়। আমরা বিশ্বাস করি যদি প্রস্তাবিত তামাক নিয়ন্ত্রন আইন দ্রুত পাশ হয় তাহলে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচবে এবং এসব রোগের হার কমেও যাবে।
যুব ফোরাম প্রতিনিধি মো: আরাফত রহমান শান্ত বলেন, যারা বিড়ি সিগারেট খায় না, তাদের বিড়ি সিগারেটের ধোয়াতে স্বাস্থ্যোর সমান ক্ষতি হয়। রাস্তাঘাটে, রেস্টুরেন্টে, লঞ্চ, ট্রেন,ও খোলা জায়গায় মানুষ সিগারেট খাওয়ার ফলে মানুষ পরোক্ষ ধুমপানের স্বীকার হয় । প্রস্তাবিত তামাক আইনে এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যদি প্রস্তাবিত আইনটা তাড়াতাড়ি পাশ করা হয় তাহলে পরোক্ষ ধূমপান থেকে মুক্তি পাবে । বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এর মূল সুফল পাবে।
“তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট যুব ফোরামের দাবী যেন সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশ করা হয়।“
উল্লেখ্য যে, বিগত দুই বছর যাবত বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি-দাওয়া করে আসছিলেন। অবশেষে, ২০২২ সালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি বিশ্বমানে উন্নীত করতে সংশোধনী প্রস্তাব প্রণয়ন করে। ১৬ জুন ২০২২ তারিখে সংশোধনী প্রস্তাব জনমত যাচাইয়ের জন্য জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে এবং সংশোধনীর পক্ষে ১৬০০০ জনেরও অধিক ইতিবাচক মতামত প্রদান করেন। মতামত প্রদানকারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ১৬৯ জন সাংসদ। ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে চূড়ান্ত সংশোধনীটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রাথমিক যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রীপরিষদে প্রেরণ করা হয়। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক যাচাইবাছাই পূর্বক খসড়াটি পাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত ও সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অন্যতম ৬ টি ধারা হলো-সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা শলাকা বিক্রয় বন্ধ করা এবং বিড়ি ও সিগারেটের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০% থেকে বাড়িয়ে ৯০% করা।
উল্লেখ্য যে, ভোলার যুব ফোরাম ইতি পূবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত ও সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের জন্য মানববন্ধন, রালি ও লিপলেটসহ দাবী জানাইয়া আসছে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।