ভোলার ইলিশায় মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ॥ আহত-২০
এম রহমান রুবেল ॥ ভোলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে পাকার মাথার বটতলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন এর বিরুদ্ধে মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান ও দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ মে) বিকাল ৫ টার সময় ইলিশা মাকার মাথা বটতলা সোহরাওয়ার্দী মাস্টার বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাউল চোরের অভিযোগে ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন ও মজগুনি সমর্থকরা মানবন্ধনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এমন সংবাদে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তার সমর্থকদের নিয়ে বটতলায় উপস্থিত হয়। এতে ইউপি সদস্যর সমর্থকরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। তার কিছুক্ষণ পরে আনোয়ার হোসেন ছোটনের নেতৃত্বে তার সমর্থরা ইলিশা জংশন বাজারে গেলে অপরদিকে ইউপি সদস্য সালাউদ্দিন তার লোকজন নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। উক্ত অবস্থান দেখে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃস্টি হয়। এক পর্যায় চেয়ারম্যানের ভাই শাহিনে ইউপি সদস্য সালাউদ্দিনের সমর্থকদের মিছিলে লাঠি মারলে উত্তেজনা তৈরি হয়। একপর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য সমর্থকদের মধ্যে ক্ষনিকের মধ্যেই দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের লোকজনই আহত হয়। উভয় গ্রুপের লোকজন কে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, যে কোন সময় ফের দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন ভোলার সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনির হোসেন মিঞা জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ভোলা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ আরাফাত হুসাইন বলেন, এখানে একটি অস্থিতিশিল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন মিলে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। সবাইকে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে চলতে হবে। আইন সবার জন্য সমান। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি যদি লঙ্ঘিত হওয়ার ঘটনা ঘটে, তা হলে আমরা তা সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।