ব্রেকিংঃ

ভোলার লালমোহনে শ্রমিকদল নেতাকে পেটালেন বিএনপির সদস্য সচিব

নিজস্ব প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহন উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি কে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের গজারিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাহীন হাওলাদার জানান, শনিবার সন্ধ্যায় গজারিয়া বাজারে নির্মাণ শ্রমিকগণ একটি সভা আয়োজন করে। ওই সভায় আমি অতিথি হিসেবে যোগদান করি।

তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েতের বাড়ি গজারিয়ায়। তাই ওই এলাকায় অবৈধ আধিপত্য বিস্তার করেন তিনি। তার অনুমতি ওই এলাকায় কেউ কোনো প্রোগ্রাম করতে পারবেনা।

তারই ধারাবাহিকতায় নির্মাণ শ্রমিকদের প্রোগ্রামে গিয়ে শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত নিজে প্রথমে আমাকে আঘাত করে। এরপরই তার বাড়ির জাকির পঞ্চায়েত ও মামুন পঞ্চায়েতসহ আরও কয়েকজন আমাকে আঘাত করে।

এ বিষয়ে মামলা করবেন বলেও জানান উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শাহীন হাওলাদার।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েতের ছোট ভাই নোমান পঞ্চায়েত লালমোহন পৌর শহরের পাটোয়ারী বাড়িতে বিয়ে করেছেন। ওই পাটোয়ারী বাড়ির প্রায় সকলেই আওয়ামী লীগে যোগদান করে প্রকাশ্যে মিছিল মিটিংও করেছিলেন।

শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েতের বাড়ি গজারিয়ায় হলেও পাটোয়ারী বাড়ির আওয়ামী লীগদের মদদ দিতে ওই বাড়িতে বাসা ভাড়া করে থাকছেন তিনি। তার মদদেই লালমোহনে দখলবাজি, চাঁদাবাজিসহ অবৈধ প্রভাব বিস্তার করাসহ দলীয় পদ, মসজিদ কমিটির পদ, বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পদ লুফে নিয়েছেন পাটোয়ারীরা।

দুই সপ্তাহ আগে লালমোহন পৌরসভার বালুর মার্কেটে রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয় ও একটি ফ্রিজের দোকানে তালা দেন মাকসুদ পাটোয়ারী ও তার ছেলে, ফারুক পাটোয়ারী ও তার ছেলে ছাদি পাটোয়ারী।
শুধু তাই নয়, তিনদিন আগে লালমোহন বিডিনিউজ নামে একটি নিউজ পোর্টালের অস্থায়ী কার্যালয় দখল করার অভিযোগ রয়েছে রফিক পাটোয়ারী ও তার ছেলে নোমান পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে।

এছাড়াও লালমোহন বাজারে আওয়ামী লীগের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মাসিক মাসোয়ারাও নিচ্ছেন বলেও পাটোয়ারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

নিজ হাতে উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতিকে আঘাত করার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম বাবুল পঞ্চায়েত বলেন, মারামারির ঘটনা ঘটেনি, তবে তর্কবিতর্ক হয়েছে।
অপরদিকে পাটোয়ারীদের মদদ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাটোয়ারী বাড়ি সাবেক মেয়রের বাড়ি। তাদেরকে মদদ দেয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।