জামিনে মুক্তি পেলেন বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের ভাইরাল নেত্রী শিমু আক্তার বৃষ্টি

স্টাফ রিপোটারঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ওয়েল্ডিং শ্রমিক হুমায়ন কবির কে হত্যাচেষ্টা মামলায় বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রী শিমু আক্তার বৃষ্টি ওরফে মিষ্টি সুভাষ
কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘদিন বন্দি থাকার পর অবশেষে জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
১৫ ডিসেম্বর ধানমন্ডিতে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন কালে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেত্রী চলচিত্রের নায়িকা বৃষ্টি কে আটক করা হয়।আটক করার পর ১৬ ডিসেম্বর তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উঠানো হলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল করিম তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এসময় আসামীর পক্ষের জামিন চেয়ে আইনগত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ভোলার কৃতি সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ খায়ের উদ্দিন শিকদার।
শুনানিতে তারা বলেন, অহেতুক হয়রানি করে তাদেরকে মামলায় জড়িত করা হয়েছে। তখন রাষ্ট্রপক্ষ আসামী পক্ষের জামিনের বিরোধিতা করে।এক পর্যায় শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৯ ই জানুয়ারী আসামি পক্ষের আইনজীবী শুনানি করলে বিজ্ঞ আদালত শিমু আক্তার বৃষ্টি ওরপে মিষ্টি সুভাষের জামিন মজ্ঞুর করেন। ঐ দিন তার জামিন মজ্ঞুর হলেও ২১ জানুয়ারি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
বৃষ্টি জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে
আশার আলো দেখতে পান তিনি।
বৃষ্টি আরো বলেন,
যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ ও লালন পালন করে যাব, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের অবিচল আস্থা রেখে আগামী দিনের সকল রাজনীতি কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করব ইনশাআল্লাহ, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।
এর আগে শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২-এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আটক হন মিষ্টি সুভাষ।