সেচ্ছাসেবক দল নেতার হামলায় নিহত ১, আহত ৬

চরফ্যাশন (ভোলা)ঃভোলার চরফ্যাশনে পূর্ব বিরোধের জেরে সেচ্ছাসেবক দল নেতার হামলায় মাসুদ(৩৮) নামের এক ক্ষুদ্রব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ওই পরিবারের অন্তঃস্বাত্ত্বা নারীসহ আরো ৬ জন।
আজ(০৪ এপ্রিল)শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় দুলারহাট থানার আবুবকরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুদ ওই গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে ও ঢাকা সাভার এলাকার একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
নিহতদের ভাই রায়হান জানান, তিনি এবং তার ভাইয়েরা ঢাকার সাভার এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন। ঈদে তারা ঢাকা থেকে আবুবকরপুর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন।বুধবার রাতে তার স্ত্রী আকলিমা ও বোন সিমার মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় প্রতিবেশী আবুবকরপুর ইউনিয়নের সেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আলামিনসহ কয়েকজন যুবক ওই বাড়িতে গিয়ে ঝগড়ার কারন জানতে চান। এসময় তার ছোট ভাই রাসেল তাদেরকে ঘরে ঢুকতে না দিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। এনিয়ে ওই সেচ্ছাসেবক দল নেতার সাথে তাদের তর্কবিতর্ক হয়। তর্কের জেরে সেচ্ছাসেবক দল নেতা তার দলবলকে ডেকে এনে রাতেই প্রথম দফায় ওই বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেন। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাৎক্ষনিক ওই ঘটনার মিমাংসা করে দেন। এতে সন্তুষ্ট হননি সেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিন। তার অব্যহত হুমকি ধামকিতে বাড়িতেই অবরুদ্ধ ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা
শুক্রবার তাদের পারিবারিক কাজের জন্য তিনি এবং অপর ভাই মহসিন স্থানীয় দুলারহাট বাজারে যাচ্ছিলেন। এসময় সেচ্ছাসেবক দল নেতা আলামিনসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা মোটরসাইকেল যোগে গিয়ে তাদের গতিরোধ করে দুই ভাইকে বেদড়ক মারধর করেন। এতেই ক্ষ্যান্ত হননি ওই সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আলামিনসহ তার দলবল। ফের তাদের বাড়িতে গিয়ে বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। এসময় তার পরিবারের সদস্য ভাই মাসুদসহ অপর সদস্যরা বাধা দিলে ওই নেতার দলবলের মারধরে ভাই মাসুদসহ অপর ৬ সদস্য গুরুতর আহত হন। প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে এলে তার বড় ভাই মাসুদকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতের চাচা সালাউদ্দিন জানান, পুর্বের ঘটনার জন্য একটি সমোঝতার তারিখ হয়েছিলো।ওই সমোঝতার তারিখ উপেক্ষা করে অভিযুক্ত ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আলামিন শুক্রবার সকালে ফের তার দুই ভাতিজার ওপর হামলা চালিয়ে ফের তাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেন। তাদের হামলা ও মারধরে তার ভাতিজা মাসুদ নিহত হয়েছেন। এহত্যার বিচারের দাবী জানান তিনি।
যুবকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানাযায়নি।
দুলারহাট থানার ওসি আরিফ ইফতেখার জানান, হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ভোলা মর্গে পাঠানোর প্রস্ততি চলছে পাশাপাশি মামলা দায়ের ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যহত রয়েছে।