ব্রেকিংঃ

তজুমদ্দিন উপজেলাপরিষদের উপ-নির্বাচন আ’লীগ প্রার্থী বিজয়ী ॥ কারচুপির অভিযোগে বিএনপির বর্জন

এম মইনুল এহসান ॥
তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান বে-সরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৫৯ হাজার ২শত ৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন । নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী নাছিরউদ্দিন পেয়েছেন ৪ হাজার৭ শত ৮৯ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী গোলাম মোস্তফা মিন্টু পেয়েছেন২ হাজার ২৯ ভোট। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপুর্ন ভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপি’র প্রার্থী গোলাম মোস্তফা মিন্টু দুপুর ১২ টারদিকেসংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন।
বুধবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কমছিল। বেলা বাড়লে ভোটাদের উপস্থিতিও কিছুটা বৃদ্ধি পায়। সহকারী রির্টানিং অফিসার সৈয়দ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির কারণে ভোটাররা আসতে কিছুটা বিলম্ব হলেও দুপুরের দিকে ভোটারের উপস্থিতি বেশ ভালো ছিল। এছাড়া কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি, শান্তিপুর্ন পরিবেশে ভোট গ্রহনহয়েছে।
বিএনপি’রপ্রার্থী গোলাম মোস্তফা মিন্টু’র নির্বাচনী এজেন্টরা ১২ টা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করলেও এরপর বের হয়ে যায়। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে দলের উপজেলা শাখা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন কওে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন। তিনি এসময় অভিযোগ করেন, নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্র হতে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। এছাড়াও গভীর রাতে এজেন্টদের বাসায় গিয়ে এজেন্ট ফরম নিয়ে আসে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসব অভিযোগে তিনি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। অপরদিকে, এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে রির্টানিং অফিসার জিয়াউর রহমান খলিফা জানান, বিএনপি প্রার্থী এধরনের বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ করেননি। আ’লীগ প্রার্থী ফজলুলহক দেওয়ান দাবী করেন, বিএনপি পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১২ টার পর কেন্দ্র হতে বের হয়ে যায়। তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। নির্বাচন কমিশনে তারা কেন অভিযোগ করলোনা। কিন্তু অপর প্রার্থীর এজেন্টরা তো ভোট কেন্দ্রে শেষ পর্যন্ত অবস্থান করেছে। অনিয়ম হলে তো তারা বসে থাকতো না।
এদিকে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে ৬ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। মাঠে ছিল প্রায় ৫ শতাধিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। যাদের মধ্যে পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও আনসার বাহিনী রয়েছে। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল টিম ও স্টাইকিং ফোর্স সার্বক্ষনিক টহলে ছিল। এখানকার ৩৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি কেন্দ্র রয়েছে মূল ভূ-খন্ডের বাইওে ছিল। সেখানেও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সহকারী রির্টানিং অফিসার। তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জালাল আহমেদ জানিয়েছেন, সকাল থেকেই শান্তিপুর্ন পরিবেশে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত তজুমদ্দিন উপজেলা। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৮৫ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৩ হাজার ৮২৪ এবং নারী ভোটার ৪১ হাজার ৯০৩ জন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।