ব্রেকিংঃ

জাতিসংঘকে ‘শয়তান ’ বললো উ. কোরিয়া

আমেরিকার উসকানিতে জাতিসংঘ ‘শয়তানি’ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মুখপত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক রডং সিনমুন।উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কে জাতিসংঘ সম্প্রতি যে প্রস্তাব পাস করেছে তার পরপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছে পিয়ংইয়ং।

রডং সিনমুন লিখেছে, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে আমেরিকা যে প্রচারণা শুরু করেছে তার লক্ষ্য আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়ানো।

জাতিসংঘের প্রস্তাব সমর্থন করায় দক্ষিণ কোরিয়ারও কঠোর সমালোচনা করে পত্রিকাটি আরো লিখেছে, ‘সিউলের এ পদক্ষেপের ফলে দুই কোরিয়ার মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা মারাত্মক সংকটের মুখে পড়বে এবং কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে যাবে।’

প্রসঙ্গত,সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ের ভিত্তিতে এমন একটি প্রস্তাব পাস করে যার ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়ায় কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়।

উ. কোরিয়াকে ৫০ কোটি ডলার জরিমানা আমেরিকার
উত্তর কোরিয়াকে ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি জরিমানা করেছে আমেরিকার এক ফেডারেল কোর্ট। ওটো নামে এক মার্কিন ছাত্রকে কারাগারে রেখে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগে এ জরিমানা করা হয়। মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর ওটোর মা সিন্ডি ওয়ার্মবিয়ার বলেন, ‘পৃথিবীতে আজও একটা অশুভ শক্তি, একটা শয়তান আছে। সেটা উত্তর কোরিয়া। ওরাই আমার ছেলেকে মেরেছে। এর বিচার চাই।’

কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক জানান, পিয়ংইয়ং যখন ওটোকে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়, তরুণ ছাত্র তখন সম্পূর্ণ অথর্ব, অন্ধ, শ্রবণশক্তিহীন। হাসপাতালে পরীক্ষা করে দেখা যায়, এক বছর ধরে ওটো কোমাতেই। মস্তিষ্কের কোষগুলো সব শুকিয়ে গেছে! তারপর এক সপ্তাহও তাকে বাঁচিয়ে রাখা যায়নি।

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বন্ধুদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছিলেন ২২ বছরের তরুণ ওটো। সেখানকার এক হোটেল থেকে সরকারি প্রচারমূলক পোস্টার চুরির দায়ে সে বছরই তাকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় পিয়ংইয়ং। কিমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ আনা হয় মার্কিন ছাত্রের বিরুদ্ধে। এর দেড় বছর পরে ওটোকে ‘মানবিক’ কারণে ছেড়ে দেয় কিমের দেশ। জানা যায়, জেলে যাওয়ার পরপরই কোমায় চলে যান ওটো।

এ ঘটনার পর ওয়ার্মবিয়ার পরিবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেছিল। এ মামলার রায়ে আদালত বলেন, সামগ্রিক জরিমানা হিসাবে ৪৫ কোটি ডলার দিতে হবে পিয়ংইয়ংকে। আর ওয়ার্মবিয়ার পরিবারকে আলাদাভাবে আর্থিক এবং মানসিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে আরও ৫১ কোটি ডলার।

হোয়াইট হাউসে ‘নিঃসঙ্গ’ ট্রাম্প!
একাকিত্বের বেদনা ফুটে উঠল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটে। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমি নিঃসঙ্গ, একাকী বসে আছি হোয়াইট হাউসে।’

এর আগে সোমবার এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেন, হোয়াইট হাউসে আমি একা একা (দুর্ভাগা আমি) অপেক্ষা করছি ডেমোক্র্যাটরা ফিরে আসবে এবং অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সীমান্ত নিরাপত্তার জন্য সমঝোতা করবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ‘ট্রাম্পের হতাশার একটি বড় কারণ হচ্ছে তার অর্জিত সাফল্যের পতন। বড়দিনের আগে আগে আমেরিকার শেয়ার বাজারে এমন ধস খুব কম হয়েছে। আর মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে কংগ্রেস অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় তো পুরো সরকারের কার্যক্রমে আংশিক অচলাবস্থা নেমে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে ফ্লোরিডায় বড়দিনের ছুটি কাটানোর সূচি থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করেন তিনি।’

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।