ব্রেকিংঃ

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় ফারুক ও জাকির গাজী বাহিনীর হামলায় রক্তাক্ত কালামগংরা

স্টাফ রিপোর্টার।
ভোলার পশ্চিম ইলিশায় অন্যের কবরস্থানে জেলা পরিষদের নেমপ্লেট জোরপূর্বক লাগিয়ে জেলা পরিষদের দেওয়া বরাদ্দ আত্মসাৎ করার চালাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী ফারুক গাজী ও জাকির গাজী গংরা। এতে কবরস্থানের মালিক কালাম গাজী নেমপ্লেট লাগাতে বাধা দিলে তাকে জাকির গাজী বাহিনী বেধরক মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত কালাম গাজীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ গত বুধবার (০১ মে) ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে জেলা পরিষদ থেকে কবরস্থানের বাউন্ডারি নির্মানের বরাদ্দ এনে অন্যের কবরস্থানের বাউন্ডারিতে নেমপ্লেট লাগিয়ে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাঙ্গাশিয়া এলাকার রুপালী ব্রিকস ফিল্ড এর সামনে কবরস্থানের বাউন্ডারি নির্মান করার জন্য বরাদ্দ চেয়ে জেলা পরিষদে আবেদন করে জাকির ও ফারুক গাজী গংরা। উক্ত কবরস্থানের বাউন্ডারি নির্মানের জন্য ২৩-২০২৪ অর্থ বছরে জেলা পরিষদ থেকে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই বরাদ্দের টাকা বাউন্ডারি নির্মান না করে আত্মসাতের অপচেষ্টা চালায় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: ফারুক গাজী, জাকির হোসেন গাজী, ইয়াসিন গাজী গংরা। বুধবার (১ মে) বিকালে তারা বরাদ্দের টাকা অসৎ উপায়ে আত্মসাৎ করার জন্য পাশ্ববর্তী আবুল কালাম গাজীর ২০২২ সালে নির্মিত কবরস্থানের বাউন্ডারিতে গোপনে জেলা পরিষদের নেমপ্লেট লাগাতে যায়।
এতে আবুল কালাম বাধা দিলে তাকে জাকির গাজী,ওমর ফারুক গাজী, ইয়াসিন গাজী এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও মারধর করে। এতে আবুল কালাম রক্তাক্ত জখম হয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে ঝড়ো হলে জাকির গাজী বাহিনী হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আবুল কালামকে রক্তাক্ত জখম অবস্থা ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে আবুল কালাম গাজী ভোলা থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আবুল কালাম গাজী এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
স্থানীয়রা বলেন, জাকির গাজী গংরা রুপালী ব্রিকস ফিল্ডের সামনের কবরস্থানের বাউন্ডারি নির্মান করার জন্য জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দ আনে। কিন্তু তারা ওই কবরস্থানের বাউন্ডারি নির্মান না করে আবুল কালাম গাজীর নির্মান করা কয়েক বছর পূর্বের বাউন্ডারিতে জেলা পরিষদের নেমপ্লেট লাগাতে যায়। বাউন্ডারি নির্মান না করেই সেখানে নেমপ্লেট লাগিয়ে তারা জেলা পরিষদের বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আবুল কালাম গাজী বাধা দিলে তাকে বেধরক মারধর করে। এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। টাকা আত্মসাৎকারীদের এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক গাজী বিচারের নামে অসহায় মহিলাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। কিছুদিন আগে স্থানীয় এক মহিলার সাথে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে ওমর ফারুক। সেই মহিলার গর্ভে শিশু সন্তানের জন্ম হয়। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সে স্থানীয় মানুষদের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করে। মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নেই যা ফারুক গাজী করে না। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এছাড়াও জাকির গাজী একজন শিক্ষক হয়ে এলাকায় মাদক, জুয়াসহ অপরাদের সামরাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বৃদ্ধ আবুল কালাম গাজীও তার হাত থেকে রেহাই পানি। তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেছে।
তাদের এই অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার অসহায় সাধারণ মানুষ।
এদিকে অভিযুক্ত ফারুক গাজিঁ জানান,আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা ভিত্তিহীন,অপর অভিযুক্ত জাকির গাজিঁর ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
ভোলা সদর থানার এএসআই মোঃ ইলিয়াস বলেন, এ ঘটনায় আবুল কালাম গাজী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছি যা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।