ব্রেকিংঃ

ভোলায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনুছের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলা ইলিশা জংশন বাজারে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, হামলা, নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস। শনিবার (০৪ মে) দুপুর ২টায় ভোলা প্রেসক্লাছেু এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে শুক্রবার ০৩ মে ভোলার ইলিশা জংশন বাজারে মোটরসাইকেলের সমর্থকদের উপর আনারস প্রতীকের সমর্থকদের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর থেকেই আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীরা বিভিন্ন সভা সমাবেশে প্রকাশ্যে আমার কর্মীদেরকে নানাভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। এমনকি ইউনিয়ন থেকে পৌরসভায় ঢুকতে না দেয়া সহ আমার সমর্থীত এক ইউপি চেয়ারম্যানের হাত কেটে দেয়ারও হুমকী দেয়া হয়। এ সব ঘটনায় মিজানুর রহমান নামের একজন বাদি হয়ে ভোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার নেতৃত্বে থাকা আনারস প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় মেম্বার সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি, ভোলা সদরে একটি অবাদ নিরপেক্ষ, সুষ্টু ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রধানমন্ত্রী, সিইসি ও স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক স¤পাদক শফিকুল ইসলাম, ভোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ স¤পাদক সিরাজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন স¤পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলী নেওয়াজ পলাশ, রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী এবং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন।
এদিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেছেন, আনাসর প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলহাজ্ব মোশারেফ হোসেন। তিনি বলেন, ইলিশার ঘটনার সময় আমার কোনো লোক ছিলনা। ঘটনার পরে আমার সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসে। এখানে আমার কি করার আছে। তারা মিথ্যা প্রচারনা করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমি চাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এর ভাতিজা, সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম স্বপন জানান, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আমার বড় ভাবীর নির্বাচনী প্রচারনায় সন্ধ্যার পরে আমি ওই এলাকায় যাই। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষ দেখে আমি স্থান ত্যাগ করি।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় ইলিশায় দু পক্ষের একটি মারমূখী অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে আজ সকল প্রার্থীদের নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা ছিল। আমরা ¯পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছি, যিনি নির্বাচন আচরন বিধি লঙ্ঘন করবেন আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিব। এটার কোনো রকমের ব্যত্যয় ঘটবে না।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ভোলার ইলিশা জংশন বাজারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশারেফ হোসেন ও মো. ইউনুসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
ভোলা সদর, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনে ২য় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। এতে মোট ৩৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।