ব্রেকিংঃ

ভোলায় পুলিশের গাড়ি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষঃঘটনায় ছবি তুলতে সাংবাদিককে বাঁধা।।

স্টাফ রিপোর্টার ॥
ভোলায় পুলিশের একটি পিকআপ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

১ জুন শুক্রবার বিকালে ভোলার চরনোবাদ এলাকায় আনাস বিন মালেক (রা.) ইসলামিক কমপ্লেক্স মাদ্রাসার সামনে পুলিশের বেপরোয়া পিকআপ গাড়ি ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মোটরসাইকেলটি ধুমরে মুচরে যায়। পুলিশের পিকআপ গাড়িটি রাস্তার পাশে গাছের সাথ গিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে পিকআপের সামনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, ভোলা শহর থেকে পুলিশের একটি পিকআপ খেয়াঘাটের দিকে যাচ্ছিলো। বিপরীত দিক থেকে একটি মটরসাইকেল শহরের উদ্দেশ্যে আসছিলো। এসময় পুলিশের পিকআপ ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মটরসাইকেল ধুমরে মুচরে যায় এবং পিকআপটি রাস্তার পাশে গাছের সাথে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে পিকআপের সামনে অংশ কিছু ভেঙ্গে যায়। তবে এই সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
ঘটনায় ছবি তুলতে গিয়ে ভোলায় পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ
হোসেনের মোবাইল কেরে নেয় পুলিশের এক সদস্য।

পুলিশের গাড়ির ড্রাইভারসহ ডিউটিরত পুলিশ সদস্য মোহেবল্লুাহ সংবাদকর্মীকে মোঃ হোসেনকে তুই তুগারি করেন। হোসেন নিজেকের সংবাদ কর্মী পরিচয় দেওয়ার পরও পুলিশ সদস্যরা তার সাথে অশোভন আচরণ করেন। কিছুক্ষণ পর সাংবাদিক হোসেনকে তার মোবাইল ফিরিয়ে দিলেও ছবি তুলতে দেওয়া হয়নি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন ঘটনাস্থলে ছিলেন এবং বিষয়টি দেখেও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। সংবাদকর্মী হোসেন মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয় জানতে চাইলে ওসি মনির হোসেন মিয়া ঘটনার কোনো সঠিক উত্তর দেয়নি। বরং এখান থেকে সাইডে সরে যাও বলে উপদেশ দেন।
সাংবাদিক হোসেনকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় ভোলার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা একজন সংবাদকর্মীর সাথে এই আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।