ব্রেকিংঃ

আমেরিকা এখন আর হুমকি দেয় না: ইরান

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী- আইআরজিসি’র কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী জাফারি বলেছেন, তার দেশের সমর শক্তি এতটা উন্নত হয়েছে যে, আমেরিকা এখন আর তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকি দেয়ার সাহস দেখায় না।

তিনি বৃহস্পতিবার তেহরানে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আরো বলেছেন, নিজের শক্তিমত্তা বৃদ্ধির ফলে ইরান এখন আর কোনো শক্তির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা হুমকি অনুভব করে না।

জেনারেল জাফারি বলেন, “বহু বছর আগে থেকে আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কামুক্ত হয়েছি এবং এখন আর কোনো বিশ্বশক্তি ইরানে আগ্রাসন চালানোর কথা কল্পনাও করে না।” এর কারণ হিসেবে আইআরজিসি’র কমান্ডার বলেন, “তারা সবাই ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষের পরিণতিকে মারাত্মক ভয় পায়।”

জেনারেল জাফারি বলেন, ইসলামি বিপ্লবের সময় অর্থাৎ ৪০ বছর আগের তুলনায় ইরান বর্তমানে এতটা শক্তিশালী হয়েছে যে, মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের মোকাবিলায় তাদের দুর্বলতার কথা নিজেরাই স্বীকার করছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নেন এবং নভেম্বরে ইরানের ওপর আগের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।

এরপর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী এক ভাষণে বলেন, সামরিক দিক দিয়ে দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে আমেরিকা এখন ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথ বেছে নিয়েছে।

ইরান-সৌদি সমঝোতা

সমঝোতায় পৌছেছে মুসলিম বিশ্বের দুই শক্তিশালি রাষ্ট্র ইরান ও সৌদি আরব। ২০১৫ সালের হজ মৌসুমে দুর্ঘটনা কবলিত ইরানি হাজিদের ক্ষতিপূরণসহ আগামী হজ মৌসুমে ৮৬ হাজার ৫শ’ ইরানির অংশগ্রহণ বিষয়ে রিয়াদের সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতার কথা ঘোষণা করেছে তেহরান।

ইরানের হজ বিষয়ক সভাপতি আলী রেজা রশিদিয়ান জানান, দু’পক্ষের প্রস্তাবনা নিয়ে সৌদি আরবের আমন্ত্রণে মক্কা মুকাররমায় পারস্পরিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ৮৪ হাজার ইরানি, সঙ্গে অতিরিক্ত ২ হাজার ৫শ’ সেবক, চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্মীসহ মোট ৮৬ হাজার ৫শ’ ইরানি হজব্রত পালন করবেন। সূত্র: ফারেস নিউজ।

২০১৫ সালের হজ মৌসুম পরপর দুটি দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়। প্রথমটি সঙ্ঘটিত হয় ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন শক্তিশালী ঝড়ের ফলে সৃষ্ট বায়ুপ্রবাহের সময় নির্মাণ কাজে নিয়োজিত বিশাল আকৃতির একটি ক্রেন উপর থেকে মক্কার মসজিদে হারামের ছাদসহ ভেঙে পড়ে। এতে ১০৭ হাজি নিহত হন, আহত হন অন্তত ২৩৮ জন।

অপর দুর্ঘটনাটি একই মাসের ২৪ তারিখে মিনায় সঙ্ঘটিত হয়। এ সময় পদদলনের ঘটনায় বহু সংখ্যক হাজি আহত ও নিহত হন। কেবল ইরানেরই নিহত হন সর্বাধিক সংখ্যক ৪৬৪ হাজি।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।