ব্রেকিংঃ

মহিলা এমপি হয়ে নারী কল্যানে ভূমিকা রাখতে চায় এ্যড. জুবলি

এম রহমান রুবেল ।।

নারীদের জীবনমান উন্নয়ন আর্থসামাজিক, আইনিসহয়তাসহ নরীদের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান এড.জান্নাতুল ফেরদৌস জুবলি চৌধুরী। তিনি ইতোমধ্যে নির্যাতিত নারীদের আইনি সহয়তা এবং বিভিন্ন সংগঠনের দ্বায়িত্বে থেকে সমাজ সেবা মূলক ব্যাপক কর্মকান্ড করে ভোলার সাধারন জনগনের মন জয় করে নিয়েছেন। তিনি মহিলা সংরক্ষিত আসন-১৫ (সংসদীয় আসন-১১৫) এর সংসদ সদস্য হয়ে তার সামাজিক কর্মকান্ডকে বেগবান করে আর্থসামাজিক, সাংস্কৃতিক, নারীদের জীবনমান উন্নয়নহ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অংশ নিতে চায়। তিনি ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। আর আগেও তিনি দক্ষতার সাথে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং জেলা মহিলা লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছিলেন। ইহাছাড়াও তিনি উপজেলা মুক্তি যোদ্ধা, জেলা সমাজ সেবা, ব্লাড ব্যাংক, জেলা হিউম্যান রাইটস, দৃস্টি মহিলা সমিতি, ধ্রবতারা ইয়ূথসহ সামাজিক অনেক সংগঠনের গুরুত্যপূর্ন্য পদে রয়েছেন। শুধু রাজনৈতিক আর সাংগঠনিক দক্ষতাই নয় সাহিত্য ক্ষেত্রেও রয়েছে তার ব্যাপক পদচারনা। রাজনৈতিক পরিমন্ডলে সাংগঠনিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ নারী হিসেবেও সবার কাছে বেশ পরিচিত তিনি। শিক্ষা জীবনে ছোট বেলা থেকেই সফলতা অর্জন করে তিনি ১৯৮৭ সালে মাসুমা খানম স্কুল থেকে এস.এস.সি। ব্যাংকের হাট কলেজ থেকে এইচ.এস.সি ও আলতাজের রহমান কলেজ থেকে ডিগ্রি ও বরিশাল ল কলেজ থেকে এলএলবি পাশ করে ভোলা জর্জ কোর্টে এডভোকেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার স্বামী মোঃ শফিকুল ইসলাম (মনির মাস্টার) ভেদুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সহ-সভাপতি, বড় ছেলে অভি ও ছোট ছেলে ওহী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত, মেঝ ছেলে নাজমুল হক অমি আওয়ামী আইন ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি এবং দক্ষিণ বঙ্গ আইন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, ৩য় ছেলে অপি ভোলা-১ আসনের জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয় তার মরহুম পিতা মুক্তি যোদ্ধা এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। মরহুম মাতাও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দ্বায়িত্বে ছিলেন। এদিকে তার প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকে ভোলা সর্বত্র জনগনের মাঝে উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করতে দেখা গেছে। এ্যড.জান্নাতুল ফেরদৌস জুবলি চৌধুরীমত একজন শিক্ষিত, সাংগঠনিক দক্ষ ও পরোপকারী এই নারীর মাধ্যমে ভোলার ও সংরক্ষিত আসনের জনগন উপকারসহ প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে তাকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হিসেবে পেতে চায় ভোলার জনগন। অপরদিকে সংসদের সংরক্ষিত মহিলা কোটা পূরণ করা নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নিয়মানুযায়ী, নবনির্বাচিত এমপিদের গেজেট জারি থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত কোটা পূরণের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কমিশন। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। আর ২ জানুয়ারি নবনির্বাচিত এমপিদের গেজেট জারি হয়। সংসদ সদস্য শপথ নেন ৩ জানুয়ারি। আগামী ১৪ জানুয়ারি কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে সংরক্ষিত মহিলা এমপি কোটাপূরণ সংক্রান্ত নথি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখা উপস্থাপন করিবেন বলে জানাগেছে। এ্যাড.জান্নাতুল ফেরদৌস জুবলি চৌধুরী বলেন, আওয়ামী পরিবারেই জম্ম তার, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের হাত ধরে রাজনিতিতে আসেন তার পরিবার পরিজন। বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্ব আর আদর্শ মনে প্রাণে ধারন করে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মজীবনকে অনুসরণ করে তোফায়েল আহমেদের রাজনৈতিক সান্নিধ্যে আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি এমপি হয়ে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি হয়ে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার নারী কল্যান স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে চান।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।