ব্রেকিংঃ

মাদ্রাসা সংস্করনকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যের উপর সন্ত্রাসি হামলা

এম রহমান রুবেল ।।

মাদ্রাসা সংস্করনকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যের উপর সন্ত্রাসি হামলা ভোলায় মাদ্রাসার উন্নয়নের কাজে বাঁধা দিয়ে ইউপি সদস্য বাহাদুর খাঁর উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে। আহত বাহাদুর খাঁন জানান, তার ওয়ার্ডে চন্দ্র প্রসাদ সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা নামে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। ঐ মাদ্রাসায় একটি নতুন ভবনের টেন্ডার প্রস্তুতি চলছে। তাই ভবনের জন্য মাদ্রসার পুকুর ভরাটের প্রয়োজনীয়তা মনে করে মাদ্রাসা কমিটি। বাহাদুর খাঁন ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছাড়াও মাদ্রাসার কমিটিতে সদস্য পদে থাকায় কমিটির মিটিংয়ে পুকুর ভরাটের ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছেন তার কাছে। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের পরামর্শে কয়েক দিন পূর্ব থেকে পার্শবর্তী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি আনা শুরু করেন। পুকুর ভরাটে নিজে নেতৃত্ব নাপেয়ে ফুসে উঠেন ঐ ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার প্রার্থী কাবিল হাওলাদার। পুকুর ভরাট নিয়ে ঘটনার আগের দিন মঙ্গলবার রাতে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতিকে কেন্দ্রকরে ঘটনারদিন কাবিল হাওলাদার উল্টো বাহাদুর খাঁনের নামে মামলা করতে ভোলা সদর থানায় আসেন। সদর থানার ওসি বিষয়র সত্যতা জানতে ঐ ইউপির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মাষ্টারকে ফোন দিলে তিনি বাহাদুর খাঁন ও আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সম্পাদক লিটন মালকে সঙ্গে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে ভোলা থানার উদ্দেশ্যে রওনা করেন। পথি মধ্যে চেরাগ আলী চকিদার বাড়ির দরজা অতিক্রমের সময় ওতপেতে থাকা কাবিল হাওলাদারের ছেলর আসাদ, সোহাগ এবং শাহজাহানের ছেলে ইলিয়াস, ইব্রাহীম আমিনসহ কয়েক জন সন্ত্রাসী চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী সেক্রেটারীর সামনেই রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে বাহাদুর খাঁনের হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে রক্তত্য জখম করে এবং তার ব্যাবহ্নত সোয়া দুই লক্ষ টাকা দামের হুন্ডা কোম্পানীর একটি মোটর সাইকেল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁরির অফিসার ইনচার্য (ওসি) আরমানের নেতৃত্বে একটি পুলিশ টিম এসে বাহাদুর খাঁনকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে হাসপাতালে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক এনামূল হক আরজু ও ত্রান বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ঘটনা পরিদর্শন করেন।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।