ব্রেকিংঃ

ভোলার ভেদুরিয়ার চটকিমারা’র চরে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে চাদাঁবাজীর অভিযোগ

ইয়ামিন হোসেনঃ ভোলার গণমানুষের নেতা সাবেক সফল বানিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি ভোলার প্রতিটি গ্রামে শত ভাগ বিদ্যুৎ দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন এবং সাবেক এই বানিজ্যমন্ত্রী’র ঘোষনা অনুযারী চলমান রয়েছে সকল গ্রামের বিদ্যুৎ এর কাজ আর এই সুযোগে স্থানীয় কিছু প্রতারকচক্ররা বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে গ্রামের সহজ সরল লোকদের জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। সরেজমিন ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বিচ্ছিন্ন এলাকা চর চটকিমারা চরে গিয়ে জানা যায়, ঐ গ্রামের মৃত্যু খালেক মিয়ার ছেলে চটকিমারা বাজারের ব্যবসায়ী মনির হোসেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যর ছেলে জুয়েল, ইউসুফ ফরাজীসহ একটিগ্রুপ বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে এবং অফিস ম্যানেজ এর উছিলা দিয়ে প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে প্রথমে ১২৫০ টাকা এবং পরে মিটার দেওয়ার নাম করে ১৭৫০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান গ্রাহকরা। ভুক্তভোগী ইব্রাহীম খলিল, তছির আহমেদ, জাকির, ইউসুফের স্ত্রী মাসুদা বেগম, খোরশেদ আলমের স্ত্রী রাশিদাসহ গ্রাহকরা জানান টাকা ছাড়া বিদ্যুৎ মিলবে না বলে হুমকি দিচ্ছে মনির। মনিরের চাদাঁবাজীর হাত থেকে জলিল ভুইয়া বাড়ীর মানসিক রোগী ফারুক, স্বামী পরিতাক্ত হাসিনা বেগম ও রক্ষা পায়নি। স্বামী পরিতাক্ত হাসিনা বেগম জানান, আমি মানুষের বাড়ীতে কাজ করে কোন রকম জীবনযাপন করছি কিন্তু বিদ্যুৎ দিবে বলে নগদ১২৫০ টাকা নিয়েছে মনির এবং আমার বাড়ীর মধ্যে দিয়ে লাইন দিচ্ছেন ও খাম্বা দিয়েছেন ঘরের পিছনে যাতে আমার ক্ষতি হবে বলায় মনির আমাকে বেধেঁ বিদ্যুৎ এর লাইন নিবে বলে হুমকি দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ভোলার গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি আমাদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করলে ও আজ আমরা জিম্মি হয়ে আছি মনির গংদের কাছে, সবার প্রশ্ন কে এই মনির? কোথায় তার ক্ষমতার উৎসব? অভিযুক্ত মনিরের সাথে কথা বলে মনির জানান, আমি জুয়েল ও ইউসুফের বেতনভুক্ত চাকুরী করি তাই তাদের নির্দেশে ৪৯ গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইউসুফ ফরাজী কে ৬১ হাজার টাকা দিয়েছি প্রয়োজনে আপনারা বললে টাকা আবার ফিরত দিবো এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোন নিউজ হলে আমি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢাকা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করাবো বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন মনির। এদিকে জুয়েল জানান, আমি জানি মনির টাকা নিয়েছে আমাকে জড়ানো হচ্ছে অযথা। ইউসুফ ফরাজী জানান,আমি টাকা নিয়ে ঠিকাদার হাছান ভাই কে দিয়েছি কাজটি দ্রুত করানোর জন্য। ঠিকাদার হাছান খাঁন জানান, ইউসুফ নামে কাউকে আমি চিনিনা দেখলে হইতো চিনতে পারি। এ বিষয়ে বাংলাবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম আবুল বাশার জানান, আমরা মাইকিং করে ফ্রি বিদ্যুৎ দিচ্ছি যদি কেউ বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে চাদাঁবাজী করে অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Chat
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।