ব্রেকিংঃ

ভোলার সর্বস্তরের জনগনের ভালোবাসা নিয়ে তৃতীয় বারের মতো ভাইস চেয়ারম্যান প্রাথমিক মনোনিত : ইউনুছ

এম রহমান রুবেল॥ আসন্ন ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তৃতীয় বারের মতো প্রাথমিক ভাবে মনোনিত হয়েছে বর্তামান সদর উপজেলা পরিষদের দুইবারের সফল ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ইউনুছ।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক মরহুম ইব্রাাহিম চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেলা আ’লীগের সদস্য এবং ভোলা জেলা পরিষদের মেম্বার মো: ইউসুফ এর ¯েœহ ধন্য ছোট ভাই । সাবেক ভোলা সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের পর পর দুইবারের জিএস, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য, ভোলা জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক ও বর্তমান বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কার্যনিবাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, বরিশাল বিভাগীয় ভাইস চেয়ারম্যানদের সাধারন সম্পাদক ভোলা জেলা আ’লীগের পর পর দুইবারের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের দুইবারের সফল ভাইস চেয়ারম্যান আবারো ভোলা জেলা আ’লীগের বর্ধিত সভায় তৃনমূল ভোটারদের রায়ে প্রাথমিক ভাবে তৃতীয় বারের মতো জনগনের ভালোবাসায় নির্বাচিত হয়েছেন আলহাজ্ব মো: ইউনুছ।
প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর ভাইস চেয়ারম্যান ইউনুছ সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে বলেন, আমার ভাই মরহুম ইব্রাহিম চেয়ারম্যান শিবপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের পাশে থেকে তাদের কল্যানে কাজ করে গিয়েছেন। জীবনে নিজের স্বার্থের কথা ভাবেনি শিবপুরের সর্বস্তরের জনগনের কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায়, আমার শ্রদ্ধেয় নেতা ভোলার ২২ লক্ষ মানুষের নয়নের মনি বঙ্গবন্ধুর একান্ত রাজনৈতিক সহচর ৬৯ গনঅভ্যুত্থানের মহানায়ক । সাবেক শিল্প ও বানিজ্যমন্ত্রী বর্তমান আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব মো: তোফায়েল আহমেদের ¯েœহ ভালোবাসা নিয়ে ২০০৯ থেে ২০১৯ পর্যন্ত দুইবার ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ভোলা সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের কল্যানে কাজ করে গিয়েছি। আমার জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া নেই । আমার চাওয়া পাওয়াই হলো ভোলার মাটি ও মানুষের নেতা তোফায়েল আহমেদ এর ¯েœহ ভালোবাসা নিয়ে সদর উপজেলা সর্বস্তরের জনগনের পাশে থেকে তাদের সেবা ও সহযোগিতা করা।
আমি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ভোলার ১৩টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সাধারন জগনদের নিয়ে আমি জননেতা তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশে ১৩ ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। যা বর্তমানে আপনাদের চোঁখে দৃর্শমান। আমি গরিব অসহায় মানুষদের জন্য যতটুকু আমার পক্ষে সম্ভব ছিল উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমি করে দিয়েছি। কোথাও কোন দুর্ঘটনা কথা শুনলে বা কর্মীদের বিপদের কথা শুনলে আগুনে পোড়ার মতো কোন খবর পেলে সাথে সাথে ঘটনা স্থলে ছুটে গেছি তাদের কাছে এবং যতটুকু সহযোগিতা করার সামর্থক ছিল উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে আমি তা করে দিয়েছি। কোন কৃপনতা বলতে আমার কাছে কিছু ছিলনা । আমি যতদিন বেচে আছি আমার শ্রেদ্ধেয় নেতা তোফায়েল আহমেদ আদর্শ বুকে ধারন করেই বেচে থাকবো। আমার রাজনৈতিক জীবনে আমি তোফায়েল আহমেদ এর কথার বাহিরে কথনো যায়নি ।এমনকি নেতা কষ্ট পাবে এমন কোন কাজ করিনি । তোফায়েল আহমেদ এর ¯েœহ ভালোবাসা নিয়ে আমি ভোলা সদর উপজেলা প্রতিটি মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। আমি বিশ্বাস করি ভোলা সদর উপজেলা ১৩ ইউনিয়নে সর্বস্তরের মানুষ আমার পরিবারের মতো । তাই ১৩ টি ইউনিয়নের মানুষের সেবাই আমি সবসময় আপাদে-বিপদে, বিচার- শালিসে তাদের পাশে থেকে কাজ করেছি এবং অদূর ভবিষ্যৎতে যতদিন বেচেঁ আছি কাজ করে যাবো।
আবারো আমাকে তৃতীয় বারের ন্যায় তৃনমূলের রায়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনিত করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোলা সদর উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ আমাকে এবারো তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য সুযোগ করে দিবেন এই আশা ব্যক্ত করেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: ইউনুছ।

তিনি আরো বলেন ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে ভোলার সাধারন মানুষ উপর যে নির্যাতন চালিয়েছে কিন্তু ভোলার মানুষদের উন্নয়নের জন্য কোন কাজ করেনি। তাদের অপকর্মের কথা ভোলার মানুষ কখনো ভুলবে না। শুধু নির্যাতন নয় বিএনপির নেতা কর্মীরা আ’লীগ নেতা কর্মীদের বাড়িতে থাকতে দেয়নি। তাদের একটাই লক্ষ ছিল পুরো বাংলাদেশকে একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিনিত করা।

আমার নেতা তোফায়েল আহমেদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ভোলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছে কিন্তু নির্যাতন কারীদের উপর প্রতিশোধ নেননি। ভোলার মানুষের সবসময় যে ভয়টি ছিল নদী ভাঙ্গন সেই নদী ভাঙন রোধে কাজ করেছেন। ভোলার উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান । মাননীয় তোফায়েল আহমেদ এর প্রচেষ্টায় এখন ভোলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এবং ভোলার শতভাগ কাচারাস্তা পাকা করন হয়েছে এবং চর-চরাঞ্চলে বিদ্যুৎতের জন্য থেমে থাকেনি বিদ্যুৎতের আলোর অভাব সোলার প্যানেল মাধ্যমে চরাঞ্চলগুলোকে আলোকিত করা হয়েছে। আজ ভোলাতে অনেক শিল্প কলকারখানা তৈরী হচ্ছে । সৃষ্টি হয়েছে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান । যা তোফায়েল আহমেদ এর একান্ত অবদান । ভোলার মানুষের আরেকটি স্বপ্ন হলো ভোলাকে বাংলাদেশের ভূখন্ডে বরিশালের সাথে যোগ করা সেটি একমাত্র ভোলা বরিশাল ব্রীজ নির্মানের মাধ্যমে। সেটিও অচিরেই হতে যাচ্ছে ভোলা বরিশাল ব্রীজ নির্মান হলে ভোলা হবে জননেতা তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের ভিতরে স্বপ্নের সিঙ্গাপুর ।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।