ব্রেকিংঃ

ভেলুমিয়ায় ছেলে কে জোর করে বাল্য বিবাহ দেওয়ার অভিযোগ

এম জামিল হোসেন।। বাংলাদেশ সরকার যখন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কঠোর ভূমিকা নিচ্ছেন আর সেই সময়ে ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন কুঞ্জপট্রি ২ নং ওয়াডে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীর তার প্রেমিক এর সাথে জোর পূর্বক বিবাহ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সূত্রে জানা যায়, ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জপট্রি ২ নং ওয়ার্ডের ইয়াছিন খাঁনের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে সাবিকুন নাহার বিথি’র সাথে উত্তর দীঘলদী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মহসিন মিয়ার ছেলে ফজলে রাব্বি সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ১০ দিন প্রেম করার সুবাদে সাবিকুন নাহার বিথি ফজলে রাব্বি কে দেখা করতে তাদের বাড়ীতে আসতে বলেন এ সময় প্রেমিকার কথামত সহজ সরল রাব্বি দেখা করতে আসলে আগ থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া বিথি’র পরিবার রাব্বি কে ঘরে নিয়ে আসেন এবং ভোলা কালীবাড়ি মোড়ের কাজী ফারুক কে নিয়ে জোর পূর্বক একটি সাদা ষ্ট্যামে সাক্ষর নিয়ে বিথি’র পরিবার গত ৫ ই জুন ২০১৮ তারিখে রাব্বি কে ছেড়ে দেন। এর কয়েক মাস পরই বিথির পরিবার রাব্বির অভিভাবকদের কাছে খবর পাঠান রাব্বি কোর্ট ম্যারেজ করে এসএসসি পরীক্ষার্থী বিথি কে বিবাহ করেছেন, রাব্বির অভিভাবকরা এসএসসি পরীক্ষার্থীর ছাত্রীর বিবাহ কোর্ট ম্যারেজ কি ভাবে হয় জানতে চাইলে বিথির পরিবার জানান আমাদের ফারুক কাজী আমাদের আত্নীয় তিনিই সবই পারেন। এদিকে বিথি’র পরিবারে অভিভাবক সেজে প্রতিনিয়ত রাব্বির পরিবার কে হুমকি দিচ্ছেন মাকছুদ মিয়া নামক জনৈক এক ব্যক্তি। এদিকে বিথি’র পরিবারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য সাংবাদিকরা সাবিকুন নাহার বিথি’র বাড়ীতে গেলে বিথি জানান আমার বিবাহ হয়েছে আপনাদের কাছেই শুনলাম, আমি মাত্র এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছি আমার আবার কিসের বিয়ে? তাহলে প্রশ্ন ছেলে জানেনা তার বিয়ে মেয়ে অস্বীকার করেছেন কিন্তু এই নাটকের মুল হোতা কে? জনৈক মাকছুদ না ফারুক কাজী? এমন প্রশ্ন এখন সবার মাঝে। ছেলে রাব্বি জানান, কোর্ট ম্যারেজ কি আমি নিজেই জানিনা ওরা বলছে আমি নাকি কোর্ট ম্যারেজ করেছি কিন্তু কখন ও আমি কোর্টেই যায়নি এবং কোন উকিলের চেম্বারে ও যায়নি। ভেলুমিয়া ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, ইয়াছিন খার মেয়ের বিবাহ হয়েছে আমার জানা নেই তবে আমরা জন্মনিবন্ধন সনদ দেয় নাই। ভেলুমিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যােক্তাতা জানান সাবিকুন নাহার বিথি নামের কারো কার্ড দিয়েছি আমার মনে হয় না। এই বিষয়ে মেয়ের মামা মাকছুদ মিয়া জানান, বিয়ের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না তবে পরে শুনেছি এবং ছেলের পক্ষ কে বলেছি। তবে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ফারুক কাজীর কালীবাড়ি মোড়ে তার অফিসে গিয়ে তাকে না পেয়ে ফোন দিলে তিনি বিয়ের বিষয়ে প্রথমে অস্বীকার করেন এবং পরে বলেন মেয়েটি আমার ভাগনি আমাকে একটি জন্মসনদ দিয়েছে তাই বিবাহ পড়িয়েছি তবে জন্মসনদটি দেখতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন, এর পরে একাধিকবার ফোন দিলেও আর রিছিভ করেনি। নোটারী আইনজীবী এডভোকেট অহিদুর রহমান জানান, কাজী যেই ভাবে দিয়েছে আমি সেই ভাবে করেছি তবে মেয়েটির বয়স কম এবং উভয় পক্ষের কাউকে না রেখে নোটারী করে আমি ভুল করেছি।

 মোঃ জামিল হোসেন জনতার বানী ডেক্সঃ০৩/০৩/১৯

 

 

 

 

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।