ব্রেকিংঃ

ভোলার চরসেম্যাইয়ায় হাসচুরিকে কেন্দ্র করে রিজিয়াকে কুপিয়ে জখম

এম রহমান রুবেলঃ
ভোলার চরসেম্যাইয়ায় হাসঁচুরিকে কেন্দ্র করে রিজিয়া বেগম (৪৫) কে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে একই বাড়ির জায়েদা বেগমেরর বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধা ৬.০০ টার সময় চরসেম্যাইয়ায় আলি আশ্রাফ মালে গো বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনা স্থল ভোলার পশ্চিম চরসেম্যাইয়া ৯ নং ওয়াড আলি আশ্রাফ মালে গো বাড়ি গিয়ে জানা যায় শাহাজান মালের স্ত্রী রিজিযা বেগম ও আলি আশ্রাফ মালের স্ত্রী জায়েদা বেগম একই বাড়ির বাসিন্দা।
ঘটনা সুত্রে গিয়ে জানা যায় শাহাজান মালের স্ত্রী রিজিয়া বেগমের হাসি চুরি হওয়ায় রিজিয়া একই বাড়ির আলি আশ্রাফ এর স্ত্রী জায়েদা কে জিজ্ঞাসা করলে জায়েদা রাগানিত হয়ে বলতেছে তোর কিসের হাস চুরি করিছি তার কোন প্রমান আছে তুই আমাকে বলিছ যে আমি হাসি চুরি করিছি তোর সাহস কত। এই এক কথায় দুই কথায় কথা কাটা কাটি হওয়ার মাঝ খানে দুজনের মাঝে হাতা হাতির ঘটনা ঘটে।
এই হাতা হাতিকে কেন্দ্র করে জায়েদা বেগম ঘর থেকে মরিচেয়ের গুড়া এনে রিজিয়ার চোখে মুখে মেরে তাকে কামড় দিয়ে প্রথম গোস্ত উঠিয়ে তার পর থেকে ছুরি দিয়ে রিজিয়ার হাতের মাংশ কাটলে রিজিয়ার ডাক চিৎকারে আশ পাশের লোকজন আসলে জায়েদা বিল দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোক মারফতে জানাযায় জায়েদা খারাপ চরিত্রের একজন মহিলা। তিনি কিছু হলেই ঘর থেকে দা নিয়ে মানুষকে কুপাতে আসে।
স্থানীয় চরসেম্যাইয়ার ৯ নং ওয়াডের বাবুল মেম্বার জানান এই মহিলা খুব জঘন্য খারাপ এই মহিলার অনেক বিচার আমি করিছি। এলাকার কারো কোন কথা শুনেন না। তিনি খারাপ চরিত্রের মহিলা। তার বাসায় কিছু দিন পর পর রাত দুপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়ে এনে তাদের কে দিয়ে দেহ ব্যাবসা করে এই জায়েদা বেগম। তিনি আরো জানান এই জাহেদা রিজিয়াকে কামড় ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে যে অবস্থা করেছে তার ঘৃণিনী ও জঘন্যতম। যা করেছে তা আমার বলার ভাষা নেই।
রিজিয়ার এই অবস্থা দেখে রিজিয়াকে তার স্বজনেরা প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দায়িত্ব ও কর্তব্যরত ডাক্তার তৈয়বুর রহমান রিজিয়ার অবস্থা খারাপ হওয়া তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে জায়েদার সাথে যোগাযোগ করতে গেলে জায়েদাকে বাড়ি গিয়ে পাওয়া পাওয়া যায়নি।
রিজিয়াকে জখম করায় ভোলা সদর থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
ভোলা থানায় অভিযোগ করলে ভোলা সদর থানার ওসি মোঃ ছগির মিঞা ঘটনা ততন্তের জন্য এসআই সুবিরকে সরেজমিনে পাঠান।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।