ব্রেকিংঃ

ভোলায় পুলিশের ছুরির আঘাতে স্ত্রী খুন

ভোলায় পুলিশ সদস্যের হাতে স্ত্রী খুন, পোস্টমেডা ছাড়াই লাশ দাফন
এইচ এম হারুন শাহ

ভোলায় পুলিশ সদস্যের হাতে স্ত্রী খুন, পোস্টমেডা ছাড়াই লাশ দাফন

ঢাকায় বসবাসরত ভোলা সদর উপজেলা র পূর্ব ইলিশার বাসিন্দা এক গৃহবধূকে তার স্বামী ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের স্বামী পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত অবস্থায় ঢাকায় আছেন।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ৮ লাখ টাকা ও বৌয়ের প্রাপ্ত সম্পত্তির বিনিময়ে সালিশ করে নিহতের ভাইদের সাথে দফারফা করে পোস্টমেডা ছাড়াই ২৪/০৮/১৯ শনিবার সকালে লাশ দাফন করা হয়। তবে নিহতের স্বামীর দাবি করেছেন তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিলে স্থানীয়রা জানান, ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের সরদার বাড়ি নাছির হাওলাদারের মেয়ে জেসমিনের (২৭) সাথে এর সাথে ১১ বছর আগে সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা বিশ্বরোড এলাকার পুলিশ কনস্টেবল মো. মাকসুদের (৩২) এর সাথে বিয়ে হয়।
নিহত জেসমিন ২ সন্তান জজননী ছিলেন।
জানাযায় নিহতের স্বামী ঢাকায় থাকেন। গত ১৮ তারিখ রাতে মাকসুদের ছুরিকাঘাতে জেসমিন গুরুতর আহত হয়।
পরে জেসমিনকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার মৃত্যু হয়।

মাসসুদের নামে অভিযোগ রয়েছে, স্বামীর পরোকীয়ায় বাঁধা দেওয়া ও অন্য নারী ঘরে আনা নিয়ে তাদের দাম্পত্য জিবনে কলহ সৃস্টি হয়।

এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৮ লাখ টাকা ও স্ত্রীর সম্পত্তির অর্ধেকের বিনিময়ে নিহতের ভাইদের ম্যানেজ করা হয় বলে নিশ্চিত করেন স্থানীয় সালিশদার প্রতিনিধি মানিক বাঘা।
পরে শনিবার ভোলার ইলিশায় রফাদফা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের সদস্যরা রহস্যজনক কারণে মুখ খুলতে নারাজ বলে দাবি করেছেন স্থানীয় জনতা।

তবে নিহতের স্বামী মাসুদ জানান তার স্ত্রীকে হত্যা করেননি।
তিনি বলেন, ১৮ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে তার স্ত্রী নিজেই ছুরি দিয়ে তার নিজ পেটে আঘাত করে।
ছুরি দিয়ে প্রথমে নিজে আঘাত করলে মুগদা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার
তারপর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর্রামর্শ দেন এবং সেখানেই সে মারা যায়। এখনো পর্যান্ত পুলিশ এ ব্যাপারে কাউকে আটক করতে করেনি।

তবে পুলিশ কনস্টেবল মাকসুদ ছুরি দিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে এমন অভিযোগ তার ছোটো মেয়ে বলেছে

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. ছগির মিঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, লাশ দাফন করা হয়েছে। আমাদের কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ হাতে পেলে ব্যাবস্তা গ্রহন করবো।

দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।